গ্রামের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে গজরাজের দল, স্কুল ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে বাঁকুড়ায়

সকাল থেকেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে। কারণ গ্রামের জঙ্গলে সকাল থেকে ঘাঁটি গেড়েছে শাবক–সহ বেশ কয়েকটি হাতির দল। এই ঘটনা এখন চাউর হয়ে গিয়েছে। এলাকার মানুষজন হামলার আশঙ্কা করছেন। শুধু তাই নয়, এই হাতির দলকে দেখেছেন অনেকে। গ্রামবাসীরা ওই পথ ধরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কোনও মুহূর্তে গজরাজরা লোকালয়ে চলে আসতে পারে। শীতের দিনে খাবারের খোঁজে তারা ঘোরাফেরা শুরু করেছে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। তবে এই আতঙ্কের অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ‘‌ছুটি’‌ দিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুল। আজ, সোমবার বেলিয়াতোড়ের পুরুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়া জেলার এই গ্রামে হাতির দল এসে পড়ায় ফসল নষ্টের সম্ভাবনাও রয়েছে। তাছাড়া শিশু পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ করতে পারে এমন আতঙ্কও অমূলক নয়। তাই চিন্তিত ছিলেন অভিভাবকরা। এখন জঙ্গল লাগোয়া পুরুনিয়া গ্রামের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে শাবক–সহ বেশ। কয়েকটি হাতি। তাতেই আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। খবর পেয়ে সকাল থেকেই গ্রামে রয়েছেন বন দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকরা। সেখানে উপস্থিত আছে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশও।

অন্যদিকে স্কুল ছুটির বিষয় নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথাও ভাবা হয়েছে। বাঁকুড়ার অন্তর্গত পুরুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার কুণ্ডু এই গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘‌আমাদের জঙ্গল ঘেরা জায়গায় স্কুলের ভৌগোলিক অবস্থান। এই এলাকায় হাতির উপস্থিতির জেরে বন দফতরের পক্ষ থেকে স্কুল বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। পরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আজ, সোমবার স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে।’‌ তবে কবে স্কুল খুলবে?‌ এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও মেলেনি।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌২ তারিখ থেকে আমি নিজে ধরনায় বসব’‌, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে চরম হুঁশিয়ারি মমতার

এছাড়া হাতির দলের উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। কারণ গজরাজরা শাবক নিয়ে ওই জায়গা থেকে সরে যেতে নারাজ। চেষ্টা করা হচ্ছে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়ার। তবে তারা এখনও সেখান থেকে যায়নি বলেই খবর। বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হাতির দলটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও গ্রামবাসীদের তা জানানো হয়েছে। এখন সন্ধ্যে নেমে এসেছে। তাতে হাতির হুঙ্কারও শোনা যাচ্ছে। এখন দেখার কোন পথে জল গড়ায়।