সরকারি হাসপাতালগুলিতে নয়া ফরমান জারি করল স্বাস্থ্য ভবন, ভিন রাজ্যের চাপ ঠেকাতে নিয়ম

বাংলা ছাড়া অন্য রাজ্য থেকে রোগী এলে সরকারি হাসপাতালে আধার কার্ড দেখাতে হবে। তবেই মিলবে চিকিৎসা। এবার স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এমন ফরমানই জারি করা হয়েছে। তবে রেফার প্রেসক্রিপশন’‌কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যদি ভিন রাজ্য থেকে এই রাজ্যে কেউ চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু এই ভিন রাজ্য থেকে আসা রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন কিনা সেই বিষয়টি এখন স্বাস্থ্য ভবনের হাসপাতাল প্রশাসন বিশেষজ্ঞ কমিটি পর্যালোচনা করে দেখছেন। এই নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ফরমান জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।

এদিকে অন্য অনেক রাজ্য থেকে বাংলায় চিকিৎসা করাতে রোগীরা আসছেন। তার জেরে বাংলার মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা পাচ্ছেন না। না হলে অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলায় ভিন রাজ্য থেকে আসা রোগীর চিকিৎসা করা হয় বিনামূল্যে। তার জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয় এই রাজ্যের গরিব মানুষজনকে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে চাপ বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতেই এবার নয়া ফরমান জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তাছাড়া ২০২৪ সালের শুরুতেই এই নিয়ম চালু করতে চাইছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

অন্যদিকে ভিন রাজ্যের পাশাপাশি ভিন দেশ থেকেও চিকিৎসা করাতে বাংলার নানা সরকারি হাসপাতালে ভিড় জমান রোগীরা। বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ভুটান–সহ একাধিক প্রতিবেশী দেশ থেকে বাংলায় চিকিৎসা করাতে আসেন মানুষজনকে। তাঁদের পরিষেবা দিতে হয়। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা.‌ সিদ্ধার্থ বলেন, ‘‌দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলায় সরকারি হাসপাতালে মাত্র ২ টাকার টিকিট কেটে হার্ট, সেলিব্রাল অ্যাটাক, অস্ত্রোপচার–সহ সব চিকিৎসা করা যায়। তাই রাজ্যের রোগীদের স্বার্থে নতুন নিয়ম চালু হবে। সবটা দেখবে রাজ্য সরকার।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমি বাঘের বাচ্চার মতো আছি’‌, বিএসএফের আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে তোপ মমতার

এছাড়া এবার অন্য দেশ থেকে রোগীরা চিকিৎসা করাতে এলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন থেকে প্রাপ্ত ছাড়পত্র খতিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডা.‌ সুদীপ্ত রায়ের বক্তব্য, ‘‌ভিন রাজ্য ছাড়াও অন্য দেশ থেকে এখানে এসে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে যায়। রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে। তবে রাজ্যের রোগীদের যেন তার জন্য সমস্যায় পড়তে না হয় সেটাও দেখা উচিত।’‌ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার এবং ওড়িশার মানুষজন বাংলায় এসে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ফিরে যান।