বৌমার অত্যাচারে ছাড়তে হয়েছিল ঘর, হাইকোর্টের নির্দেশে দম্পতিকে ফেরাল পুলিশ

বৃদ্ধ বয়সে বাবা মায়ের সম্বল হয়ে থাকে তাদের সন্তান। অন্যান্য বৃদ্ধ দম্পতির মতো তেমনি আশা ছিল বছর সাতাশির সুনীল বসু এবং তাঁর স্ত্রী শুক্লা বসুর। কিন্তু, তাদের সেই আশা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বৃদ্ধ বয়সেও ওই দম্পতিকে মারধর করতেন তাদের বৌমা। তাই বৌমার অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘরে ফেরালো পুলিশ। ঘটনাটি হাওড়ার সাঁতরাগাছির বাকসারা এলাকার। সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ এসে তালা ভেঙে তাদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। 

আরও পড়ুন: মেয়ের জন্মদিন পালনের পরই আত্মঘাতী বৃদ্ধ দম্পতি

জানা গিয়েছে, সুনীল বাবু সেনার অফিসার ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে ছেলে বৌমাকে সঙ্গে নিয়েই থাকছিলেন। তাদের বৌমার নাম দেবযানী রায় চৌধুরী। তার একটি বুটিক আছে। তবে তিনি টাকা পয়সা এবং সম্পত্তির বেশি অংশ নিতে চাইছিলেন। তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। তাই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। হাওড়া জাজেস কোর্টের আইনজীবী কৌশিক সাহা জানান, দেবযানী শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মিথ্যা বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পান দম্পতি। অভিযোগ, গত ১৭ জানুয়ারি দেবযানী রায় চৌধুরী তার বাবা মা এবং আরও ১০–১২জনকে নিয়ে শ্বশুর শাশুড়িকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধ দম্পতি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন তাদের ঘরে ফেরাতে হবে। অবশেষে শুক্রবার সেই বৃদ্ধ দম্পতি ঘরে ফেরেন।

জানা গিয়েছে, দেবযানী রায় চৌধুরীর সঙ্গে বৃদ্ধ দম্পতির ছেলের  ডিভোর্সের মামলা চলছে। পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে বৃদ্ধ দম্পতিকে বাড়ির ভিতরে ঢোকায় । যদিও হাইকোর্ট আগেই বৃদ্ধ দম্পতির পক্ষে নির্দেশ দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই ওই ঘর তালা দিয়ে চলে যান দেবযানী রায় চৌধুরী । অবশেষে আদালতের নির্দেশে পুলিশের উপস্থিতিতে সেই তালা ভেঙে ঢোকার পর দেখা যায় ঘরের ভিতরে সব কিছু ভাঙা। অনেক কিছু নেই বলে তাদের অভিযোগ । বৃদ্ধা শুক্লা বসুর কথায়, ‘বৌমা অনেক অত্যাচার করেছে। শারীরিক মানসিক সব ধরনের অত্যাচার করেছে। সেই কারণেই আমরা ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। এখনও আমরা আতঙ্ক হয়ে রয়েছি।’