দিঘায় তৈরি হবে মসজিদ, জমি দেবে রাজ্য সরকার

গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হয়েছে। সেই আবহে হিন্দু ভোট পেতে আগামী এপ্রিল মাসে সৈকত নগরী দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার মুসলিম পর্যটকদের সুবিধার জন্য দিঘায় তৈরি হতে চলেছে মসজিদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক বছর আগে সেখানে মসজিদ তৈরির কথা বলেছিলেন। অবশেষ সেখানে মসজিদ তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করা হল। রাজ্য সরকার জমি দেবে এবং তাতে মসজিদ তৈরি করবে মুসলিম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ।

আরও পড়ুন: পুরীর আদলে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ শেষ কবে?‌ জানালেন হিডকো কর্তা

দিঘায় মসজিদ তৈরির বিষয়ে জমিয়তে  উলামায়ে হিন্দের পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কমিটির সম্পাদক আব্দুস সামাদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক বছর আগেই এখানে মসজিদ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল যে সমুদ্র সৈকতে অনেক মুসলিম পর্যটক আছেন। তাদের প্রার্থনা করতে সমস্যা হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই এই প্রক্রিয়া চলছিল।

দিঘায় এই মসজিদ তৈরি করা হবে ২ একর ১১ ডেসিমেল জমির উপরে। নিউ দিঘা পিকনিক কমপ্লেক্সের কাছে সমুদ্র সৈকতের গা ঘেঁষে এই জমিটি অবস্থিত। দিঘা–শঙ্কর উন্নয়ন পর্ষদের এই জমিটি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের হাতে মসজিদ তৈরির জন্য তুলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মসজিদ তৈরির জন্য জমি চেয়েছিল ওই সংগঠন। তবে জমি হস্তান্তর নিয়ে পুরোপুরি সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জমি হস্তান্তর নিয়ে জেলা শাসকের দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে পারে।  

এদিকে, এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, জগন্নাথ মন্দির কেউ তৈরি করতে বলেন। সরকার মসজিদ তৈরির জন্য জমি কেন দিচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে উন্নয়ন নেই মানুষের কর্মসংস্থান নেই তার পরিবর্তে এইসব করে বেড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিকে, রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করেছে বিজেপি। তাতে গোটা দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছেন যে সেটা আসলে বিজেপির মন্দির। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধর্ম নিয়ে কথা বলেন। জমিয়াতে উলামায়ে হিন্দ জমি তৈরি করতে চেয়েছে তার জন্য জমি দিয়েছে সরকার। এতে অন্যায় কিছু নেই।