Madhyamik exam 2024: পর্ষদ সভাপতির সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর থেকে উদ্ধার হল মোবাইল

মাধ্যমিকে কড়াকড়ি সত্ত্বেও প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। তারপর থেকে আরও সক্রিয় হয়েছে পর্ষদ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও নজরদারি এড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পড়ছে পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনেই পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উদ্ধার হল মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ।  

আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার হলেও নৈরাজ্য, উত্তর না বলায় পাঠভবনের ছাত্রদের ওপর হামলা

মঙ্গলবার ছিল ভূগোলের পরীক্ষা। এদিন মালদহের মানিকচক, কালিয়াচক ২ এবং ইরেজবাজার গ্রামীণ এলাকায় পাঁচটি স্কুল পরিদর্শন করেন পর্ষদ সভাপতি। তখন কালিয়াচকের পাঁচকুড়িটোলা হাই স্কুলের কেন্দ্রে পড়ুয়াদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন   থেকে উদ্ধার হয়। সবমিলিয়ে ৭ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও একজনের কাছ থেকে স্মার্ট ওয়াচ উদ্ধার হয়। তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। এদিন পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে পর্ষদ সভাপতি বলেন, পরীক্ষায় উত্তর জানার জন্য পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন নিয়ে আসছে। তবে কিছু মানুষ নিজেদের সুবিধার্থে প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে। পড়ুয়ারা যাতে তাদের ফাঁদে পা দেয় তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে আগেই। তবে এদিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি। 

তিনি জানান, এদিন মোট আটজনের কাছ থেকে মোবাইল ও স্মার্ট ওয়াচ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ৬ জনই মালদার। এর পাশাপাশি মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টার জন্য ২৫ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশ্ন মিলেছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অ্যাডমিনকে ধরতে পারিনি পুলিশ। তবে পুলিশ ঠিকমতোই তদন্ত করছে বলে দাবি করেছেন পর্ষদ সভাপতি। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত খুব সহজ নয়। পুলিশ পুরোপুরি চেষ্টা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৩ পড়ুয়ার কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা প্রথমে জানতে পেরেছিল শুধুমাত্র ওই দিনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কিন্তু পরে জানতে পারে তাদের সব পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি বলেন, মোবাইল সহ ধরা পড়লে পরীক্ষার্থীর সব পরীক্ষায় বাতিল হয়ে যায়। এটাই নিয়ম।