MNREGA Scam: পদে পদে বাধা, ১০০ দিনের দুর্নীতিতে চার্জশিট দিয়ে DGর কাছে ধমক খায় CID

ঠিক যেন রেশন দুর্নীতির অ্যাকশন রিপ্লে। রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে যেমন থামতে হয়েছিল রাজ্য পুলিশকে তেমনই ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিআইডিকে ধমকানোর অভিযোগ রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইডি হানার মধ্যেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। বহিষ্কৃত সরকারি কর্মী রথীন্দ্রনাথ দের বিরুদ্ধে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সিআইডির আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা বাধা পান।

২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ১ ব্লকের সুজাপুর পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির খোঁজ পান তৎকালীন বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র। তখন ওই পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ আধিকারিক ছিলেন রথীন্দ্রনাথবাবু। পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ হোসেনের সঙ্গে যোগসাজস করে ১০০ দিনের টাকা বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়ের নামে খোলা ভুয়ো সংস্থায় পাচার করেন রথীন্দ্রনাথ। জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ পৌঁছলে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে বেলডাঙা থানায় ২টি FIR করেন বীরূপাক্ষবাবু।

সেই ঘটনার তদন্তে নামে CID. ওদিকে রথীন্দ্রনাথবাবুকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। অভিযোগ, বহিষ্কৃত ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পদে পদে বাধা পান সিআইডির আধিকারিকরা। সব বাধা পেরিয়ে ২০২৩ সালে ওই মামলায় চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। শাসকদলের নেতাদের অনুমতি না নিয়ে কেন চার্জশিট দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলে সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিককে রীতিমতো ধমক দেন রাজ্যপুলিশের তৎকালীন DG মনোজ মালব্য।

অভিযোগ শুধু সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নয়, স্থানীয় মহুলা গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই রকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নওয়াদা ব্লকে থাকাকালীনও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

বলে রাখি, রেশন দুর্নীতিতেও বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগের তদন্তে পুলিশ একই রকম বাধা পেয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে সেই তদন্তভার হাতে নিয়ে বাকিবুর ও প্রাক্তন খাজ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ED.

ওদিকে মঙ্গলবারের তল্লাশির পর অভিযুক্ত রথীন্দ্রনাথ দে ও তাঁর বোনকে শুক্রবার বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি।