সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের গঠন করা SIT তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য ও ED-র বক্তব্য শুনে এব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে। তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহানের অন্তর্ধানের মধ্যেই আদালতের নির্দেশে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার তদন্ত এই নির্দেশে বিশ বাঁও জলে চলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
সরবেড়িয়ায় তৃণমূলি গুন্ডা শেখ শাহজাহান আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। পালটা রাজ্যের দাবি ছিল, এই ঘটনার তদন্তভার থাকুক রাজ্যেরই হাতে। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে মধ্যপন্থা বার করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের সম সংখ্যক আধিকারিক দিয়ে সিট গঠন করেন তিনি। সিটের নেতৃত্বে পুলিশ সুপার বা সম পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবে বলে জানান বিচারপতি সেনগুপ্ত। বলেন, তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে।
আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য তাদের তরফে সিটের সদস্যদের নাম আদালতে জমা দিলেও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশে অসন্তোষ প্রকাশ করে ইডি। তাদের দাবি ছিল, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথ তদন্তে তাদের আস্থা নেই। এর আগে কুন্তল ঘোষের অভিযোগ মামলায় নিম্ন আদালত যৌথ সিট গঠন করেছিল। এর পর রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলায় ইডি ও রাজ্য পুলিশকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ মার্চ।
ওদিকে বিজেপির দাবি, আদালতের এই দীর্ঘসূত্রিতার জন্য তৃণমূল তার লক্ষ্যে সফল হয়ে যাচ্ছে। বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, বিচার্য বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে তৃণমূলের লক্ষ্য লোকসভা ভোটের আগে শেখ শাহজাহান যেন জেলে না যায়। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে লোকসভা ভোট ঘোষণা হতে পারে। আর ৬ মার্চ এই মামলার শুনানি। তার পর সিবিআই তদন্তভার পেলেও লোকসভা ভোটের আগে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব নাও হতে পারে তাদের পক্ষে।