কলকাতায় আবাসন শিল্পের প্রসার ধাপে ধাপে হচ্ছে। তবে এবার কলকাতায় বাড়ি কিংবা আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে পুরসভার নিয়মে কিছু বদল ঘটানো হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও বিল্ডিং রুলসে কিছু বদল ঘটানো হয়েছে। আর সেই নিয়মের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং রুলসেও পরিবর্তন করাটা জরুরী।
এদিকে প্রাথমিকভাবে কিছু খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেই এই কাজ করা হচ্ছে। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ এই প্রাথমিক খসড়াপত্র তৈরি করেছে। মেয়র পারিষদ বৈঠকে এই খসড়া পেশ করা হবে। তারপর সেই খসড়া বিধানসভা থেকে পাশ করা হবে।
কী কী থাকছে এই খসড়াতে? মূলত বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে দেখা হবে সেই আবাসন যাতে সাধারণ মধ্য়বিত্তের নাগালের মধ্যে থাকে সেটার সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা শহরে অনেক সময় গলির পাশে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে এবার গলির পাশে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সমস্যা মেটানো হবে।
অন্যদিকে বাড়ির নির্মাণ প্ল্যান পাস সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে পুরসভা নতুন করে কিছু চিন্তাভাবনা করছে। তার মধ্য়ে অন্য়তম হল ছোট বাড়ির প্ল্যান পাসের ক্ষেত্রে নতুন করে কিছু নিয়মের বদল ঘটতে পারে। এই ছোট বাড়ির প্ল্যান পাসের ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রাপ্ত বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, টাউন প্ল্যানার ও ল্য়ান্ডস্কেপ আর্কিটেক্টেদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই তা করতে হবে।
এদিকে সম্প্রতি প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা হয়েছিল, কলকাতা পুরসভার আওতায় থাকা ছোট বাড়ির বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করবে পুরসভার লাইসেন্স প্রাপ্ত এলবিএস বা আর্কিটেক্টরা।
এদিকে এলবিএসদের হাতে বাড়ি প্ল্যান অনুমোদনের অধিকার দিলে সুবিধা হয়তো কিছুটা হতে পারে। কিন্তু খোল এলবিএসদের একাংশেরই এনিয়ে আপত্তি রয়েছে। কিন্তু এর আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিম কী জানিয়েছিলেন?
মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ঝক্কি কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ছোটখাটো বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ঝক্কি পোহাতে হবে না। স্থানীয় এলবিএসরাই ছাড়পত্র দিয়ে দেবেন।’
তবে পুরসভার এই সিদ্ধান্তে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলবিএস এবং আর্কিটেক্টদের একাংশ। তাদের মতে, বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের পর, বাড়ির মালিক বা প্রমোটর যদি কোনও বেআইনি নির্মাণ করেন তবে তার দায় চাপবে এলবিএস এবং আর্কিটেক্টদের ঘাড়ে। আইনি ঝামেলায়ও জড়িয়ে পড়তে পারেন তাঁরা।
সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।