Mukul Roy: বাবা তো মনেও রাখতে পারেন না, ইডি ডাকতেই মুকুলকে নিয়ে টেনশনে শুভ্রাংশু

মুকুল রায়। বাংলার রাজনীতিতে তিনি চাণক্য বলেই পরিচিত। বলা হয়ে থাকে বাংলায় তৃণমূল আসার পেছনে মুকুল রায়ের ভূমিকা ছিল অনেকটাই। সেই মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থানকে ঘিরে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই মুকুল রায়কেই তলব করল ইডি। সূত্রের অ্যালকেমিস্ট মামলায় মুকুল রায়কে তলব করা হয়েছে। এদিকে মুকুল রায়ের শরীর স্বাস্থ্য় নিয়ে এর আগেও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। সেই মুকুল রায়কে ইডির তলবের জেরে ফের উদ্বিগ্ন শুভ্রাংশু। মূলত পিতার শারীরিক পরিস্থিতির জেরে তিনি কীভাবে দিল্লি যাবেন সেটা নিয়েই মূল উদ্বেগ। 

এদিকে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটির অ্যালকেমিস্ট দুর্নীতি মামলায় এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কেডি সিংহকে। এবার সেই মামলায় তথ্যসূত্রের  ভিত্তিতে তলব মুকুল রায়কে।

বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। পরে আবার তৃণমূলে আসেন। এরপর সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে বিশেষ দেখা যায় না। তবে বাড়ির বারান্দায় তাঁকে দেখা যায় মাঝেমধ্য়ে। তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। দিল্লির সদর দফতরে ইডি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে চায় ইডি। 

এদিকে পিতার শরীর স্বাস্থ্যের কথা জানিয়ে শুভ্রাংশুর আর্জি,  ইডি চাইলে কলকাতায় এসে বা বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। এব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন,  বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি কিছুই মনে রাখতে পারেন না। ভালো করে হাঁটতে পারেন না। তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। 

এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে মুকুলকে ইডির তলব। আর সেই ঘটনাকে ঘিরে চর্চা একেবারে তুঙ্গে। 

এদিকে গত অক্টোবর মাসেই শোনা গিয়েছিল মুকুল রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাংলার রাজনীতিতে একেবারে শোরগোল পড়ে যায়। মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং বীজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুবোধ অধিকারী।

এদিকে গত বছর এপ্রিল মাসে আচমকাই দিল্লি চলে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। এনিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে সেই সময় সাংবাদিকদের  শুভ্রাংশু জানিয়েছিলেন, ‘মুকুল রায় অসুস্থ। তিনি গত তিন-চার বছরের স্মৃতি হারিয়েছেন। তিনি এখনও নিজেকে সাংসদ ভাবছেন। রোগের শিকার তিনি। ভাবছেন সংসদ ভবনে যাচ্ছেন। অমিত শাহদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। সময় লাগবে।’

ঘটনার দু-তিন দিন আগে থেকে তিনি ইনস্যুলিন নিচ্ছেন না, যে ওষুধ খাওয়ার ছিল তা তিনি খাচ্ছেন না। সুগার পরীক্ষা করলে তিনশর কাছাকাছি হবে বলে শুভ্রাংশুর আশঙ্কা।

তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘বাবা প্রাপ্তবয়স্ক। তিনি কী করবেন, কী করবেন না, পুরোটাই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করি।’

এবার সেই মুকুল রায়কেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।