রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির প্রায় সাড়ে তিন মাস পর প্রথমবার জামিনের আবেদন করলেন রাজ্যের সদস্য অপসারিত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতার হওয়ার ১১৩ দিন পরে কলকাতার নগর দায়েরা আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিনের আবেদন করলেন তিনি। আইনজ্ঞদের দাবি, প্রভাবশালী ছাপ আড়াল করতে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। বিরোধীরা বলছেন, জেলবন্দি থেকেও নিজে কবে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়বেন তা ঠিক করতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়। এখনও এতটাই প্রভাবশালী তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের সাড়ে ৩ মাস পর জোড়া দফতর হারালেন বালু, কার হাতে গেল দায়িত্ব
শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয় পার্থ ভৌমিক ও বীরবাহা হাঁসদার মধ্যে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, মন্ত্রী দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকায় দফতরের কাজকর্ম প্রভাবিত হচ্ছিল। তাই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ওদিকে সূত্রের খবর, জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মন্ত্রী থাকুন তা না-পসন্দ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই নিয়ে দীর্ঘদিন মতানৈক্য চলছিল মমতা ও অভিষেকের মধ্যে। তাই বালুকে অপসারণের পর তাঁর দফতর ভাগ করে দেওয়া হয়েছে অভিষেকের অনুগামী বলে পরিচিত পার্থ ভৌমিক ও বিরবাহা হাঁসদার মধ্যে। তবে বালু যে জামিনের আবেদন করতে চলেছেন তখনই টের পেয়েছিলেন রাজনীতিক ও আইনজীবীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: দু’দিনের বীরভূম সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেউচা–পাঁচামিতে জমিদাতাদের দেবেন নিয়োগপত্র
শনিবার জামিনের আবেদন করে নগর দায়েরা আদালতে জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, তাঁর একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে। যার জেরে তাঁকে নিয়ম মেনে চলতে হয়। জেলে সেই সব নিয়ম মানা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে তাঁর শরীর দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে বালুর দাবি, রেশন বণ্টন দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁকে ফাঁসাচ্ছে ইডি। সোমবার জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আবেদনের শুনানি হবে আদালতে।