উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি ক্যামেরার নজরদারি, বাড়তি জোর প্রশ্নপত্র সুরক্ষায়

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কড়া হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাতেও পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে সিসি ক্যামেরা আবশ্যিক করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে দু’টি সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে দরজায়। অপরটি পরীক্ষাকেন্দ্রের যেখানে প্রশ্নপত্র জমা থাকে সেই ঘরে। কিউআর কোডের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরালের অপকর্মে যুক্তদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে সুরক্ষা বরং বেশ খানিকটা বেশিই নেওয়া হবে।

এদিকে রাত পোহালেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। তা নিয়ে এখন জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে সংসদে। কিন্তু দু’টি ক্যামেরা কি গোটা কেন্দ্রের নজরদারি করতে পারবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে থাকছে বিশেষ সিরিয়াল নম্বর। সাধারণ ক্রমিক সংখ্যা নয় সেটা। আবার কিউআর কোড বা বারকোডের মতোই সুরক্ষা দেবে সেটি। এখন নিরাপত্তার স্বার্থে গোটা রহস্য ফাঁস করছে না উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে শৌচালয়ের বাইরে, শ্রেণিকক্ষে এবং স্কুল বারান্দায় সিসি ক্যামেরা লাগালে নজরদারি জোরদার হতো। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

অন্যদিকে যে ব্যবস্থা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ করেছে তাতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলিও কোন সেন্টারে, কোন ঘরে পৌঁছচ্ছে সেটা জানা যাবে। আর উত্তরপত্রে লেখা সিরিয়াল নম্বর ধরে জানা যাবে, কোন পরীক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে সেই প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হলে সেই সূত্রে ধরেই চিহ্নিত করা যাবে কারসাজি কার। শিক্ষকদের অবশ্য দাবি, এই বছর একাদশ থেকে দ্বাদশের পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, খাতা কেনা–সহ নানা কাজের খরচ স্কুলকে বহন করতে হচ্ছে। এবার কিনতে হবে সিসি ক্যামেরাও। সেখানে পড়ুয়াদের থেকে সামান্য টিউশন ফি নিয়ে এই খরচ বহন করা কি সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আর একটি সুবিধা হল, স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলি চিহ্নিত করে সেগুলিতে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ হিমন্তের সরকারকে সমর্থন করতে চায় দু’‌জন কংগ্রেস বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা রাহুলকে

এছাড়া মেটাল ডিটেক্টর, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিভাইস দিয়ে নজরদারি চলবে। তাতে সহজেই ধরা পড়বে মোবাইল ফোন–সহ বৈদ্যুতিন যন্ত্র। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা বোর্ডের থেকেই যন্ত্রগুলি ধার নিতে হয়েছে। পরের বছর টেন্ডার প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নেবে সংসদ। ফলে কোনও সমস্যা হবে না। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ‘‌স্কুলগুলিতে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। পরিকাঠামোর খরচ চালাতে কম্পোজিট গ্রান্ট বাবদ যা পাওয়া যায় তা দিয়ে। তাই দু’টো সিসি ক্যামেরা কেনা কঠিন।’‌ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘দু’টো ক্যামেরা কেনার খরচ খুব বেশি নয়।’‌