জঞ্জাল সাফাই কর্মীর্দের কতজনের শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, জানতে তৎপর হল KMC

প্রতিদিন বর্জ্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন বর্জ্য বিভাগের কর্মীরা। এই তথ্য অনেক আগেই সামনে এসেছে। এই অবস্থায় বর্জ্য বিভাগের কতজন কর্মী বর্জ্য নিয়ে কাজ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন? তা জানতে সমীক্ষা করবে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বর্জ্য বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মী চোখে জ্বালা থেকে শুরু করে ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরেই পুরসভার বর্জ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে শারীরিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে কিনা তা জানার জন্য এই সমীক্ষা করবে পুরসভা।

আরও পড়ুন: রাতের শহরকে জল দিয়ে স্নান করানো হবে, ধুলোমুক্ত করতে উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে এই সমীক্ষা চালানো হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচুর সংখ্যক কর্মী বর্জ্য সাফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই সমস্ত কর্মীরা যেমন বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করেন তেমনি সেই সমস্ত আবর্জনা ব্যবহারের উপযোগী করা জন্য ধাপায় নিয়ে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় নিয়মিত বর্জ্য ঘাঁটার ফলে কর্মীরা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন হ্যান্ড পাবলিক হেলথ এই সমীক্ষার কাজ চালাবে।

পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য বিভাগে ৫০ থেকে ৮০ জন কর্মী কাজ করেন। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি ওয়ার্ড পাঁচজন কর্মীর উপর সমীক্ষা চালানো হবে। তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হবে। আদৌও তারা কোনও সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে। তারপরে ধাপে ধাপে বাকি কর্মীদের ওপরেও সমীক্ষা চালানো হবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্জ্যের গন্ধ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। এই বর্জ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত গ্যাস এবং রাসায়নিক থাকে, যেমন মিথেন গ্যাস, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস থাকে। এই সমস্ত গ্যাস শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রের পাশাপাশি লিভার এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রসঙ্গত, বিদেশে সাফাই কর্মীরা অবশ্য মাস্ক, গ্লাভস এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। তবে এখানে তা হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক আগেই এই সমীক্ষার প্রয়োজন ছিল। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রিপোর্ট দেখার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। পশ্চিমের দেশগুলিতে মেশিনের সাহায্যে কিছুটা এই সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হয়েছে। কলকাতাও সেই পথে যায় কিনা, সেটাই দেখার।