‘BJP নেত্রী ছিলেন, ওনি তো ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ চাইবেনই’, TMC-র নিশানায় রেখা শর্মা

জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হওয়ার আগে বিজেপির সদস্য ছিলেন রেখা শর্মা। তিনি তো ‘রাষ্ট্রপতি শাসন’ চাইবেনই। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর  দাবিকে ‘পার্টিজান (দলীয় কর্মীর মতো) সুলভ’ বলে নিশনা করল তৃণমূল। 

সোমবার অশান্ত সন্দেশখালি যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তাঁরা কথা বলেন মহিলাদের সঙ্গে। পরে চেয়ারপার্সন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দিনের দিন মহিলাদের উপ অত্যাচার হয়েছে। মোট ১৭টি অভিযোগ পেয়েছেন। দুইজন মহিলার কাছ থেকে ধর্ষণেরও অভিযোগ পেয়েছন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’ এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আবেদন করবেন বলেও জানা তিনি। 

এর পরই সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘বিজেপির জেলা সম্পাদক থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হয়েছে। এতে আপনার রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা কোন ভাবেই কমে যাবে না। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার ঊর্ধ্বে দলীয় স্বার্থকে তুলে ধরেন যিনি, এমন কাউকে আমরা কীভাবে বিশ্বাস করতে পারি? বিজেপির প্রতি আপনার আনুগত্য আপনার অবস্থানকে সম্পূর্ণ অন্যায্য এবং অসম্মানজনক করে তোলে।’

পড়ুন।  অশান্ত সন্দেশখালি, সন্তানদের সুরক্ষায় অন্যত্র স্কুলে ভর্তি করছেন বাবা-মা

আর বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়ে আসলে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টার করছেন রেখা শর্মারা। অতীত ইতিহাস ঘাটলেই জানা যাবে ২০১৫ সালে তিনি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন। তার আগে তিনি হরিয়ানার বিজেপি জেলা সম্পাদকং এবং মিডিয়া ইনচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। তাই মণিপুর ও চোপড়ার ঘটনায় নারীসুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ না দেখিয়ে, তিনি যে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরব হবেন সেটাই খুব স্বাভাবিক। 

পড়ুন। শুভেন্দু-সুকান্তের আশ্বাসের পরও মিলল না স্বস্তি, বাগদায় নিষ্ক্রিয় ৩৩ আধার কার্ড

প্রসঙ্গত, এদিন রেখা শর্মার একটি পুরনো টুইট তুলে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপির শুধু পুরুরাই নারীবিদ্বেষী জীবন যাপন করেন না, মহিলারও নারীবিদ্ধেষী।’

এর আগে তফসিলি উপজাতি কমিশনের প্রতিনিধি দলও সন্দেশখালি গিয়েছিল। তারও কথা বলে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেও রাষ্ট্রপতিপতি শাসনের দাবি তোলে কমিশনের প্রতিনিধিরা। তারপর সোমবার সেখানে যায় মহিলা কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।