শেষ বলে চার মেরে অস্ট্রেলিয়াকে জেতালেন ডেভিড

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২১৬ রানের লক্ষ্যে শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। টিম ডেভিড বাউন্ডারি মেরে অজিদের ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন।

ওয়েলিংটনে ম্যাচটা জমে উঠে শেষ দুই ওভারে। ১২ বলে অজিদের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। ১৯তম ওভারে শেষ তিন বলে একটি বাউন্ডারি ও দুটি ওভার বাউন্ডারি মেরে ম্যাচটা কাছে নিয়ে আসেন ডেভিড। ম্যাচটা তখনও দুলছিল। শেষ ওভারে প্রথম তিন বলে সিঙ্গেল আসায় শঙ্কাও জাগে। কিন্তু ডেভিড শেষ তিন বলে একটি ছয়, ডাবল আর শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে এনেছেন। অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে রাখার কাজটা করেছেন মূলত মিচেল মার্শ। ৪৪ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ম্যাচসেরাও মার্শ। ক্যামিও ইনিংস খেলা ডেভিড ১০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। তাছাড়া ম্যাক্সওয়েল ২৫, ট্রাভিস হেড ২৪ ও ডেভিড ওয়ার্নার উল্লেখযোগ্য ৩২ রান করেছেন। 

শুরুতে টস জিতে কিউইদের চালকের আসনে বসিয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। ৩৫ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি। তাতে ছিল ২টি চার ও ৬টি ছয়ের মার। সঙ্গী ডেভন কনওয়ের সঙ্গে তার ১১৩ রানের ঝড়ো জুটি বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছে। রাচিন আউট হলে কিছুক্ষণ পর ৪৬ বলে ৬৩ রানে আউট হন কনওয়ে।

শুরুতে ফিন অ্যালেন ও কনওয়ে মিলে যোগ করেছেন ৬১। অ্যালেন ৩২ রানে ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। শেষ দিকে চ্যাপম্যান (১৮) ও গ্লেন ফিলিপসের (১৯) অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানও অবদান রাখে। তাতে ৩ উইকেটে ২১৫ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।

অজিদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার ছিল অধিনায়ক মিচেল মার্শের। ২১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪২ রানে ২টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মিচেল স্যান্টনার।