<p><strong>কলকাতা: </strong><span style="font-weight: 400;">নতুন কোথায় যাচ্ছেন। গাড়িতে উঠেই মনমেজাজ বেশ খুশি খুশি লাগছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই শরীর খারাপ লাগছে। কেমন যেন গা গুলোতে শুরু করেছে। গাড়িতে চড়লেই অনেকেই এই সমস্যায় পড়েন। বমি বমি ভাব আসে। মাথা ঘুরছে বলে মনে হয়। অনেকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বমি করেও ফেলেন। একে ডাক্তারি ভাষায় মোশন সিকনেস বলা হয়। চিকিৎসকদের কথায়, গাড়ি চলার সঙ্গে এই শারীরিক সমস্যা সম্পর্কিত। তাই এমন নামকরণ।</span></p>
<p><strong>মোশন সিকনেস কেন হয় ?</strong></p>
<p><span style="font-weight: 400;">গাড়ি চললেও আমরা গাড়ির ভিতর বসে থাকি। অর্থাৎ স্থির থাকি। এদিকে আমাদের শরীর গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে। আমাদের চোখ, কান, পেশি ও বিভিন্ন জয়েন্ট গতি সংবেদনশীল অঙ্গ বা মোশন সেন্সিং অর্গ্যান। যখন গাড়ি চলছে, তখন আমাদের চোখ চারপাশের জিনিসকে চলমান দেখে। কানের ভিতর একরকম তরল থাকে। সেটিও গতিকে বুঝতে পারে। এদিকে পেশি ও জয়েন্ট স্থির থাকে। ফলে কান, চোখ মস্তিষ্ককে বোঝাতে চায় শরীর চলছে। পেশি ও জয়েন্ট বোঝাতে চায় শরীর স্থির রয়েছে। এসবের মাঝে পড়ে ব্রেন গুলিয়ে ফেলে সবটা। যার ফল হল বমি।</span></p>
<p><strong>কী কী লক্ষণ দেখা যায় ?</strong></p>
<ul>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><span style="font-weight: 400;">বমি বমি ভাব।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><span style="font-weight: 400;">মাথা ঘুরতে থাকে।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><span style="font-weight: 400;">মাথা যন্ত্রণা করে।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><span style="font-weight: 400;">ক্লান্ত লাগে অনেক সময়।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><span style="font-weight: 400;">কোনও কিছুতে মন বসাতে অসুবিধা হয়।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><span style="font-weight: 400;">শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়।</span></li>
</ul>
<p><strong>কী করলে সুস্থ লাগবে শরীর ?</strong></p>
<ul>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><strong>চোখ বুজে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নেওয়া -</strong><span style="font-weight: 400;"> চোখ বুজে থাকলে একটা অঙ্গ ব্রেনে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেবে। পাশাপাশি ঘুমিয়ে পড়লে মস্তিষ্কও খাটনি কমবে। এতে বমি বমি ভাব আর পায় না।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><strong>আদাকুচি মুখে রাখা -</strong><span style="font-weight: 400;"> বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আদা এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই মুখে একটি আদাকুচি রেখে দিতে পারেন। মাঝে মাঝে চিবোতে পারেন এটি।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><strong>চিউইং গাম -</strong><span style="font-weight: 400;"> চিউইংগামের মধ্য়ে একটি ঠান্ডাভাব থাকে। যা এই সময় উপকারী হতে পারে। </span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><strong>দূরের স্থির কিছুর দিকে থাকা -</strong><span style="font-weight: 400;"> দূরে স্থির কিছু দেখা যাচ্ছে ? সেদিকেই তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখ দেখবে সেটি স্থির রয়েছে। ফলে শরীর চলছে, এমন কোনও সংকেত মস্তিষ্ককে পাঠাবে না।</span></li>
<li style="font-weight: 400;" aria-level="1"><strong>বিশুদ্ধ হাওয়া -</strong><span style="font-weight: 400;"> গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে দিতে পারেন। জানালা দিয়ে আসা বিশুদ্ধ হাওয়া কিছুটা আরাম দেবে।</span></li>
</ul>
<p><span style="font-weight: 400;">আরও পড়ুন - </span><a title="Curd Benefits: দই, খাওয়ার আগে না পরে, কখন খেলে বেশি উপকার ?" href="https://bengali.abplive.com/lifestyle/before-or-after-food-what-is-right-time-to-eat-curd-1048339" target="_self">Curd Benefits: দই, খাওয়ার আগে না পরে, কখন খেলে বেশি উপকার ?</a></p>