জয়রাম রমেশ কী বলেছেন জানি না, বামেদের সাথে আমার জোট আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে: অধীর

ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে হাইকম্যান্ডের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও রকম জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে তিনি বলেন, এব্যাপারে সিপিএম নেতা সেলিমের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমার কথাবার্তা শুরু হয়েছে।

এদিন অধীররঞ্জনবাবু বলেন, ‘জয়রাম রমেশের এই বক্তব্য আমার জানা নেই। তিনি কী বলেছেন, কেন বলেছেন জানি না। তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে তারা ৪২টা আসনে লড়বে। ইন্ডিয়া জোট করার জন্য এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। পরে তাঁর মনে হয়েছে আমার উদ্যোগী হওয়ার দরকার নেই। তিনি পিছিয়ে চলে এসেছেন। তৃণমূলের একাংশ ভাবছে, আমরা ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে এলে বাংলার সংখ্যালঘুরা আমাদের ভোট দেবে না। তৃণমূলের আরেকটা আংশ মনে করছে এখনই তারা ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ালে তাহলে ইডি – সিবিআইয়ের হাতে পড়তে হবে। এর মধ্যে আমি নিজে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের নেতা সেলিমের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছি। পশ্চিমবঙ্গে আমরা বামেদের সঙ্গে আঁতাত করে ভোটে লড়তে চাই’।

শনিবার উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, তিনি বলেছেন, ‘আলোচনা চলছে। তৃণমূলের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বলেছে যে তারা ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে চায় এবং তাঁর সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হল বিজেপিকে পরাজিত করা। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করি।’ উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে সেই জট কেটেছে। দুই রাজ্যে আসন ভাগাভাগির চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এছড়াও আসন ভাগাভাগি নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে যে কংগ্রেস অলস এবং তারা আগ্রহী নয়। কিন্তু এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে, জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি যে এটির জন্য সময় লাগে।’