সন্দেশখালি নিয়ে অশান্তি পাকাতে চাইছে বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। শেখ শাহজাহানকে এখনও ধরা যায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আজ, শনিবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। মানুষের ক্ষোভের কথা শুনছেন তাঁরা। এই আবহে শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। এলাকায় সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত। তবে সিরাজউদ্দিনকে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ, শনিবার এই দাবি করলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। আর তাতে সায় দেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুজিত বসুও।
এদিকে সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর দাবি, শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগের কথা বলেননি। কয়েকজনের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে ঠিকই। কিন্তু সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। গ্রেফতার হওয়া উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরা লিজে জমি নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা চাঁদা তুলে মেটাচ্ছেন। শাহজাহানের ভাই সিরাজকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এলাকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানান, পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সিরাজকে।
আরও পড়ুন: ‘শেখ শাহজাহান কোনও অপরাধ করেছেন কেউ বলেননি’, দরাজ শংসাপত্র তৃণমূল বিধায়কের
অন্যদিকে আজ সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমের সামনে শেখ শাহজাহান ধরা না পড়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বললেই ধরা পড়বে শেখ শাহজাহান। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেননি বলেই পুলিশ ধরছে না শেখ শাহজাহানকে। এই কথার প্রেক্ষিতে পাল্টা সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর কথায়, ‘আমি তিন দিন ধরে সন্দেশখালি এলাকায় গিয়েছি। সবাই বলেছে, আমরা তৃণমূলের লোক। আমরা তৃণমূল করি।’ আজ শাহজাহানের ভাই সিরাজুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। এই বিষয়ে বিধায়কের মন্তব্য, ‘ও এখন অঞ্চল সভাপতি নেই। সিরাজের কোনও পদ নেই তৃণমূলে।’ আর মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের মন্তব্য, ‘অনেক আগেই সরানো হয়েছে। সুকুমার বলেনি?’
এছাড়া শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ার আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে অজিত মাইতিকে। বিধায়ক সুকুমার মাহাতো আজ কার্যত প্রশংসা করেই বলেছেন, ‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা কেউ জানাননি। শেখ শাহজাহান কোনও অপরাধ করেছেন, এটাও কেউ বলেননি।’ আজ শনিবার সন্দেশখালি গিয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতেও যান। সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক দুই মন্ত্রীও গিয়েছেন।