New Lokpal Chairperson: সাড়া ফেলেছিলেন শবরীমালা রায়ে, সেই প্রাক্তন বিচারপতিই এবার লোকপালের চেয়ারপার্সন

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় মানিকরাও খানউইলকরকে লোকপালের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে শীর্ষ আদালত থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। 

রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিচারপতি অজয় মানিকরাও খানউইলকরকে লোকপালের চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ করতে পেরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু খুশি।

রাষ্ট্রপতি ভবনের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি লিঙ্গাপ্পা নারায়ণ স্বামী, বিচারপতি সঞ্জয় যাদব এবং বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থিকে বিচার বিভাগীয় সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় সদস্য ছাড়াও অন্য সদস্যরা হলেন সুশীল চন্দ্র, পঙ্কজ কুমার এবং অজয় তিরকে। 

সুশীল চন্দ্র প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হলেও অবস্থি বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারপার্সন।

লোকপালের বিচার বিভাগীয় সদস্য বিচারপতি প্রদীপ কুমার মোহান্তি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন। 

প্রধানমন্ত্রী এবং লোকপালের চেয়ারপার্সন হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি বাছাই কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি লোকপালের চেয়ারপার্সন নিযুক্ত হন।

একজন চেয়ারপার্সন ছাড়াও লোকপালে আটজন সদস্য থাকতে পারেন, যার মধ্যে চারজন বিচার বিভাগীয় এবং অনেকে বিচার বিভাগীয়। ২০২২ সালের ২৭ মে বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে লোকপাল তার নিয়মিত প্রধানকে ছাড়াই কাজ করছে

বিচারপতি এ এম খানউইলকর আরও পরিচয় জানুন

বিচারপতি খানউইলকর ২০১৬ সালের ১৩ মে থেকে ২০২২ সালের ২৯ জুলাই পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। শবরীমালাতে মহিলাদের প্রবেশাধিকার, সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য না করা, আধারের বৈধতা সহ গুরুত্বপূর্ণ রায়ের অংশ ছিলেন তিনি। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গা মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নির্দোষ প্রমাণ করা বেঞ্চের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। 

কমন কজ বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (২০১৮)-এর ২১ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সম্মানের সঙ্গে মৃত্যুর অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে যে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছিল তার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও খানউইলকর।

শীর্ষ আদালতে পদোন্নতির আগে খানউইলকর মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন।