Sheik Shahjahan : জেলা পরিষদের সদস্য শাহজাহান কোনও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে না, বলল হাইকোর্ট

সন্দেশখালির ঘটনার পর চাপে পড়ে আগেই শেখ শাহজাহানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। আর তড়পরেই জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে সিবিআই হেফাজতে থাকা শাহজাহান এখনও জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে রয়ে গিয়েছেন এবং ক্ষমতা ভোগ করছেন। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই অভিযোগ তোলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি)  অশোক কে চক্রবর্তী। এই অবস্থায় শেখ শাহজাহান যাতে কোনওভাবেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে না পারেন সে বিষয়ে রাজ্যকে নিশ্চিত করতে বলেছে প্রধান বিচারপতি  টিএস শিবজ্ঞানম  এবং বিচারপতি  হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।  

আরও পড়ুনঃ CBI-এর হাতেই তুলে দিতে হবে শাহজাহানকে, বুধেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, সময় বেঁধে দিল আদালত

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এদিন রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, শাহজাহান এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে কোনও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। এদিন আদালতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি)  অশোক কে চক্রবর্তী বেঞ্চকে জানান যে শাহজাহান এখনও একজন রাজ্য মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর সমান অধিকার ভোগ করেন এবং তাই তাকে অবিলম্বে সদস্য পদ থেকে বরখাস্ত বা অপসারণ প্রয়োজন।  

তখন আদালত রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তকে জিজ্ঞাসা করে, শাহজাহান কি এখনও জেলা পরিষদের সদস্য পদে থাকবেন? এজি আশ্বস্ত করেন শাহজাহানকে পদ থেকে অপসারণের জন্য আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। তখন আদালত নির্দেশ দেয় পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তিনি কোনও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। 

এর পাশাপাশি শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল করারও অভিযোগ ওঠে। সেই সমস্ত জমি সঠিক মালিকদের ফেরানো হচ্ছে বলে আদালতে জানানো হয়। রাজ্যের তরফে আদালতে বলা হয়, যে জেলা শাসক এবং ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) শাহজাহানের দখলকৃত জমিগুলি সঠিক মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। 

এরপরেই আদালতের তরফে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একটি উত্তর দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে জানাতে হবে, জমিগুলি দখলের পরে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা এবং যদি তাই হয়, তবে সেগুলির আসল অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই হস্তান্তর করা হচ্ছে কি না।  

এদিন মামলায় এক আইনজীবী বেঞ্চকে জানিয়েছিলেন যে স্থানীয় পুলিশ এবং শাহজাহানের সহযোগীরা সাক্ষীদের প্রভাবিত করার জন্য চেষ্টা করছে। আদালত সেক্ষেত্রে সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে বলেছে। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।