‘‌পিন্টুবাবু কো ইতনা গুসসা কিউ হোতা হ্যায়?‌’‌ মোদীর নতুন নামকরণ করলেন মমতা

ডোরিনা ক্রসিংয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন নামকরণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি রাহুল গান্ধীকে ‘‌পাপ্পু’‌ বলে থাকে। এবার প্রধানমন্ত্রীর নতুন নামকরণ করে দেওয়া হল। এই নাম নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে তিনটি সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাজ্য সরকারকে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নারীদের নিয়ে আজকের মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন নামকরণ ‘‌পিন্টু’‌। যদিও মুখ্যমন্ত্রী একবারও নাম নেননি প্রধানমন্ত্রীর।

এদিকে আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারীদিবস। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও নারী দিবস পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আগামীকাল ৮ তারিখ শিবরাত্রি থাকায় একদিন আগেই আজ, বৃহস্পতিবার এই মিছিল করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল নেত্রী এই মিছিল থেকেই বলেন, ‘‌সন্দেশখালি নিয়ে অনেকে ভুয়ো সন্দেশ দিয়েছে। কয়েকটা ঘটনা হতেই পারে। হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয়। অন্যায় হয়ে থাকলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিই। তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করতেও পিছপা হই না।’‌

আরও পড়ুন:‌ কোন অঙ্কে মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে?‌ অভিষেকের সঙ্গে হাঁটলেন মিছিলে

অন্যদিকে এবারের নারী দিবসের মিছিলের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়—মিছিলে রয়েছেন সন্দেশখালির একাধিক মহিলাও। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁদের মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল। এখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‌কত জায়গায় বিজেপির নেতাদের হাতে নির্যাতিতা হচ্ছেন মা–বোনেরা। তারা ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। কিন্তু বাংলার মেয়েরা কথা বলতে জানে। বাংলায় কিছু হলে মহিলারা তেড়েফুড়ে ওঠে। আমি এটা পছন্দ করি। বাংলার উপর এত রাগ কেন পিন্টুবাবু? মণিপুরে যখন মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানো হচ্ছিল কোথায় ছিলেন পিন্টুবাবু? হাথরাসে যখন ধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল, তখন কোথায় ছিলেন পিন্টুবাবু?’‌

এছাড়া বুধবার বারাসতের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাষণে বোঝাতে চেয়েছেন যে, বাংলার মেয়েদের তৃণমূল কংগ্রেস সম্মান করেন না। বরং তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়। সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেছিলেন, ‘‌এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা।’‌ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল শেষ করেন ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখানে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সুর সপ্তমে চড়িয়ে কটাক্ষ, ‘‌দেখা হবে ব্রিগেডের গর্জনে। আমি দেখব সেদিন কার কত গর্জন বেশি হয়। ভয়ঙ্কর গর্জন যেন হয়। যাতে দিল্লির বুকটা একটু কেঁপে যায়। বাংলার নামে বদনাম করাটা যেন চেপে যায়। আবার খেলা হবে, দেখা হবে। বাকি কথা গর্জনে হবে। আর গর্জন যখন হবে ধামসা মাদল শঙ্খ কাঁসর, উলুধ্বনি, আজানের ধ্বনি সব হবে। বাংলার সৌজন্যতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ভাবছেন, অত্যাচার করবেন আর তৃণমূলকে ঢ্যাঁড়স ভাববেন। মনে রাখবেন ঢ্যাঁড়স যেমন আছে কাঁচাকলাও আছে। উচ্ছে করলা সবই আছে। মিষ্টি চিরতাও আছে। কোনটা খাবেন ঠিক করে রাখুন। বিজেপিকে আমি বলি পিন্টুবাবু।’‌