নতুন প্রস্তাব দিয়ে ফোন ববির, ‘দোলাচলে’ ক্ষুব্ধ অর্জুন

ক্ষুব্ধ অর্জুন সিংয়ের ক্ষোভ প্রশমনে তাঁকে ফোন করলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। লোকসভায় প্রার্থী হতে না পেরে  রবিবার থেকে সাংবাদিকদের কাছে তাঁর ক্ষোভের কথা জানাচ্ছেন ব্যাবারকপুরের সাংসদ।  তবে তিনি এখনও পর্যন্ত সরাসরি দল ছাড়ার কথা জানাননি। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে ধরে রাখার জন্য তৎপরতা দেখাল তৃণমূল। সূত্রের খবর সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে ফোন করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে প্রশাসনিক পদের আনার জন্য আকর্ষণীয় প্রস্তাবও দিয়েছেন। অর্জুনের ঘনিষ্টমহল সূত্রে খবর, সেই প্রস্তাব পেয়ে কিছুটা দোলচলে রয়েছে ব্যারাকপুরে সাংসদ।

ব্রিগেডে মাঠে প্রার্থী ঘোষণার পর সেই তালিকায় নিজের নাম না দেখে হতাশ হয়েছিলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা অর্জুন। তাঁর জায়গায় ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা হয়েছে নৈহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। যিনি আবার রাজনৈতিক ভাবে তাঁর বিরোধী বলেই পরিচিত। 

তবে প্রার্থী না হতে পারার জন্য ক্ষোভ থেকে ফের বিজেপিতে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিতে থাকেন তিনি। এমন বলেন যে, ‘আমার বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা ভুল হয়েছে।’ যদিও প্রার্থী পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কোনও বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা যায়নি তাঁকে। তিনি বলেন, ‘পার্থ আমার পুরনো বন্ধু। কাল আমার বাড়িতে আসবে বলেছে। আমি তো ব্যারাকপুরের ভোটের । তাই ও আসতেই পারে আমার বাড়িতে। কিন্তু ওর কোনও প্রতিশ্রুতি আমি শুনব না।’ 

আরও পড়ুন। দল ছাড়লেও BJP-র সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতেন অর্জুন? চাঞ্চল্যকর দাবি

আবার দলকে সতর্ক করার সুরে বলেন, ‘টিকিট পাইনি। আমার দুর্ভাগ্য! আমাকে সভায় (ব্রিগেডে) ডাকা হয়েছিল। তা-ও টিকিট দেওয়া হল না। দলই বলতে পারবে আমাকে প্রয়োজন আছে কি না। ব্যারাকপুরের ভোটে আমাকে ছাড়া জেতা যাবে কি না।’

এ সবের মাঝেই তাঁকে ফোন করেন ফিরহাদ হাকিম। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁকে বরানগরে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ববি। শুধু তাই নয়, ভোটে জিতলে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এই প্রস্তাবে পর কিছুটা দোলাচলে রয়েছেন অর্জুন। যদিও প্রকাশ্যে এই ফোনের কথা স্বীকার করেনি তিনি। তবে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। এখনও ভাবার সময় আছে।’

দলীয় নেতাদের মতে, প্রস্তাবটি নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়। কিন্তু তাতে শেষ পর্যন্ত অর্জুন সিং রাজি হবেন কি না সেটাই দেখার। কারণ আগে থেকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন ব্যারাকপুর ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে লড়বেন না। সূত্রের খবর, লোকসভার টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁকে অন্যত্র লড়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এক্ষেত্রে কি তিনি রাজি হবেন বরানগর বিধানসভায় গিয়ে লড়তে?