‘‌অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর মিঠুন চক্রবর্তী গ্রেফতার নন কেন?’‌ ইডিকে প্রশ্ন কুণালের

অর্থলগ্নি সংস্থা অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ‘আটক’ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ‘ডিমান্ড ড্রাফ্ট’ আকারে থাকা ওই টাকা ‘আটক’ করা হয়েছে। অ্যালকেমিস্টের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। ইডির এই টাকা ‘আটক’ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইডি চিঠি পাঠিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এটাকেই এখন নেতিবাচক করে দেখানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ।

এদিকে ইডির পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, অ্যালকেমিস্ট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই সংস্থার মালিক রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কেডি সিং। লখনৌতে সিবিআই একটি এফআইআর দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, আমানতকারীদের থেকে ১,৮০০ কোটি টাকা তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট। টাকা ফেরানোর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত কোনও টাকাই ফেরানো হয়নি। বিভিন্ন বিমান ও হেলিকপ্টার সংস্থাকে ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা দিয়েছিল অ্যালকেমিস্ট সংস্থা।

 

অন্যদিকে এই হেলিকপ্টার নির্বাচনের কাজে চেপে ছিলেন রাজ্যের বহু নেতা–নেত্রী। তাতে বেশ কিছু টাকা বাকি থেকে যায়। সেই বকেয়া টাকার কথা পরে জানতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ইডির পরামর্শেই সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। আর তা মেটানো হয় ড্রাফটের মাধ্যমে। সুতরাং গোটা বিষয়টির প্রমাণ রয়েছে। ইডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সেই ড্রাফটের কথা জানিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে নেমেছেন বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। এই অ্যালকেমিস্টের টাকা নিয়েই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করেছে ইডি। কারণ তিনি নির্বাচনী তহবিল দেখার দায়িত্বে ছিলেন।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌এটা শাসকের আইনের বদলে আইনের শাসন’‌, সিএএ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল

গোটা বিষয়টি নিয়ে পাল্টা বিজেপিকে তুলোধনা করেছেন কুণাল ঘোষ। এমনকী ইডিকে পরামর্শ দিয়েছেন, যাঁরা জড়িত তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হবে না। কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘‌২০১৪ সালে হেলিকপ্টারের ভাড়ার টাকা সংস্থা দিতে চেয়েছিল। তখন দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুকুল রায়। কপ্টার ভাড়া নেওয়া হলেও টাকা মেটানো হয়নি। দলের জানাও ছিল না কাকে, কী ভাবে দিতে হবে টাকা। পরে বিষয়টি ইডি হাতে নিলে তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, তারা টাকা মিটিয়ে দিতে প্রস্তুত। তাই কয়েকদিন আগে ড্রাফটও পাঠানো হয়। এই নিয়ে এখন কুৎসা চলছে। অ্যালকেমিস্টের ‘ব্র্য়ান্ড অ্যাম্বাসাডর’ মিঠুন চক্রবর্তীকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?‌ মুকুল রায়কেই বা কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?‌’‌