Manohar Lal Khattar resigns: লোকসভা ভোটের আগে ইস্তফা হরিয়ানার CM মনোহর খট্টরের, BJP-JJP জোটে কি ইতি? তুঙ্গে জল্পনা

লোকসভা ভোটের আগে হরিয়ানার রাজনীতিতে ঝড় তুলে এবার ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। শুধু তিনিই নন। রিপোর্ট বলছে, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও দিয়েছেন ইস্তফা। এই তালিকায় রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্ম্যন্ত চৌতালাও। উল্লেখ্য, জেজেপির দুষ্ম্যন্ত চৌতালার সঙ্গে বিজেপির মনোহর খট্টরদের জোট সরকার ছিল হরিয়ানায়। তবে আচমকা এই ইস্তফা ঘিরে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি হরিয়ানায় ভাঙছে বিজেপি- জেজেপি জোট?

এদিক, সদ্য সফরে গিয়ে হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর খট্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নরেন্দ্র মোদীর। এরপরই সোমবার গভীর রাতে বিজেপির সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটির বৈঠক হয়। শোনা যাচ্ছে সেখানে ৭ রাজ্যের ৯০ প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়েছে। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন নরেন্দ্র মোদী, জেপি নড্ডা, অমিত শাহরা। এরপরই আসে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের ইস্তফার খবর। পর পর তাঁর সব মন্ত্রীর ইস্তফার খবর আসে। এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদন দাবি করছে, সূত্র মারফৎ খবর রয়েছে যে, সম্ভবত লোকসভা ভোটে এবার লড়তে পারেন মনোহর খট্টর। তবে ইস্তফার নেপথ্যের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।

মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে দুই নাম!

বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল যে, লোকসভা ভোটের আসন বণ্টন নিয়ে জেজেপি ও বিজেপির মধ্যে হরিয়ানায় সংঘাত রয়েছে। জননায়ক জনতা পার্টির দুষ্ম্যন্তের সঙ্গে বিজেপির মনোহর খট্টর শিবিরের এই ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ছিল। তারই মাঝে আজ মঙ্গলবার হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়র কাছে নিজেদের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন হরিয়ানার মন্ত্রীরা। এদিকে, জানা যাচ্ছে, হরিয়ানার নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত আজই শপথ নেবেন। সূত্রের খবর, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন নায়াব সাইনি বা সঞ্জয় ভাটিয়া। বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, শিবরাজ সিং চৌহান, বিপ্লব দেবের মতোই হরিয়ানার সদ্য প্রাক্তন হওয়া মুখ্যমন্ত্রী মনোহর খট্টর সম্ভবত লোকসভা ভোটে লড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনি করনাল আসন থেকে লড়তে পারেন। 

কী হতে চলেছে হরিয়ানায়?

উল্লেখ্য, সদ্যই জোট নিয়ে দুষ্ম্যন্ত চৌতালার সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল অমিত শাহর। তবে শোনা যাচ্ছে, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ। পর্যবেক্ষণ অর্জুন মুন্ডা ও বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাকদ তরুণ চুঘ খুব শিগগিরই যেতে চলেছেন হরিয়ানায়। তাঁদের কাছে হাইকমান্ডের নির্দেশ আগেই ছিল হরিয়ানায় জোট ঘিরে সমস্যা কাটানোর জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘিরে টানটান কৌতূহল জারি রয়েছে।