Kunal Ghosh: সোশ্যাল মিডিয়ায় এত গালি শোনেন, কেমন লাগে? জবাব দিলেন কুণাল, ‘লাইকগুলো দেখুন’

কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা। মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের অন্দরে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে কয়েকজন নেতা একবারে কঠোরভাবে আক্রমণ করেন তার মধ্য়ে অন্যতম কুণাল ঘোষ। 

কুণাল ঘোষ কতটা মাঠে ময়দানে জনপ্রিয় তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষের প্রোফাইল খুলে দেখেন অনেকেই।  মানে অনেকেই কুণাল ঘোষের ভিডিয়োটা খোলেন, তাঁর বক্তব্যটা পড়েন আর কমেন্ট সেকশনে গিয়ে একটি অশ্লীল শব্দ লিখে চলে আসেন। রবিবার সন্ধ্যায় টিভি নাইনের অনুষ্ঠানে এনিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। 

কমেন্ট সেকশনে নেটিজেনদের এই আক্রমণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বলুন না যে গালি দেয়।… আমি ধর্তব্যের মধ্য়েই রাখি না।’ আর তার সঙ্গে তিনি যে ব্যাখা দিয়েছেন তা শুনে তো হতবাক অনেকেই। 

তিনি এই প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে এসে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে বেশি কারা ছিলেন, যারা আমায় পছন্দ করেন না, যারা আমার প্রতি অ্য়াগ্রেসিভ…এরপর যতই আমি দলে সক্রিয় হয়েছি ততই ওই লোকগুলি আমার প্রতি হতাশ হয়েছেন। তারা ভেবেছিলেন আমি হয়তো অ্যান্টি তৃণমূল। প্রথমে তাঁরা ফ্রেন্ড হয়েছিলেন। আমার অবস্থানের সঙ্গে…তারা যখন দেখলেন আমি দল ছাড়ব না, দলকে ডিফেন্ড করছি তখন তারা আমার সমালোচক হয়ে গেলেন। কিন্তু আপনি দেখবেন যতগুলি কমেন্ট আছে তার ৩০-৪০ শতাংশ বিরোধী, কিন্তু কটা লাইক পড়ছেন সেটাও দেখবেন, লাইক কিন্তু সে করে যে সাপোর্ট করছে। শেয়ার যে করে সে সাপোর্ট করছে, আমি একটা বিতর্কিত জায়গা থেকে এসেছি। আমার সবথেকে বড়, সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই কৃতিত্ব যে আপনি আমায় সাপোর্ট করুন, কমেন্ট গিয়ে গালাগালি দিন, কিন্তু আপনাকে সার্চ করে কুণাল ঘোষ কী বলছেন এটা জানতে হবে এটা আমার সাকসেস। আমি ও আমার সহকর্মী মিলে চেষ্টা করি মানুষের কাজ করা, মানুষের পাশে থাকার, নানা ধরনের কাজ করার। সেটা শুধু সাংবাদিকতায় থাকলে হত না…’

তবে অনেকের মতে, বাংলায় আর কোনও তৃণমূল নেতার প্রোফাইলে এত গালিবর্ষণ হয় কি না তা নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। কিন্তু অনেকেই দেখেন কুণাল ঘোষের প্রোফাইল মানেই সেখানে একেবারে দল বেঁধে এসে লোকজন অশ্লীল শব্দ, আপত্তিকর, অপমানজনক শব্দ লিখে চলে যাচ্ছেন। বার বার তাঁর অতীতটা তাঁরা মনে করিয়ে দেন। তবে এবার তা নিয়ে ব্যাখাও দিলেন কুণাল ঘোষ।