Samosa with beef: শিঙাড়ায় গোমাংসের পুর! অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার ৬

শিঙাড়ায় মাংসের পুর। পরে জানা যায় আসলে সেগুলি হল গোমাংস। আর সেই শিঙাড়া অজান্তে খেয়ে ফেলেছিলেন বহু মানুষ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। গোমাংসের পুর ভরতি শিঙাড়া বিক্রির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গুজরাটের চিপওয়াদ এলাকার।  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার ‘হুসাইনি সামোসা’ নামে এলাকার একটি দোকানে অভিযান চালায়। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দোকানের সমস্ত শিঙাড়া বাজেয়াপ্ত করে।

আরও পড়ুন: গরুর মাংস আছে গাড়িতে? সন্দেহের বশেই পিটিয়ে খুন যুবককে, গো রক্ষকদের দাপট নাসিকে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত শিঙাড়াগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে শিঙাড়ার ভিতরে গোমাংস ছিল। এই ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ডিসিপি (জোন ৪) পান্না মোমায়া জানান, ধৃতদের নাম হল-ইউসুফ শেখ ও নঈম শেখ, এরা দুজনেই হলেন মালিক। এছাড়া ধৃত হানিফ ভাথিয়ারা, দিলাওয়ার পাঠান, মঈন হাবদাল এবং মবিন শেখ হলেন দোকানের কর্মচারী। ওই শিঙাড়ার দোকানটি এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দোকান থেকে কাঁচা শিঙাড়া প্রস্তুত করে শহরের বহু দোকানে সরবরাহ করা হত। সাধারণ ক্রেতারা এই শিঙাড়াগুলিতে মাংসের পুর ভরতি শিঙাড়া বলেই বিশ্বাস করে খেয়েছিলেন। তবে তাদের জানা ছিল না আসলে সেগুলি গোমাংসের পুর। এভাবেই দিনের পর দিন গোমাংসের পুর ভরতি শিঙাড়া বিক্রি করা হচ্ছিল।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা একটি ৫ তলা বিল্ডিং ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেই তারা শিঙাড়া প্রস্তুত করত। আর একটি ঘরকে গোমাংস সংরক্ষণের জন্য একটি ডিপ ফ্রিজারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ইউসুফ শেখ পুলিশকে জানিয়েছেন, যে তার বাবা শিঙাড়া বিক্রি করতেন এবং তিনিও এই ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তদন্তে জানা গিয়েছে আসলে ওই দোকান চালানোর কোনও লাইসেন্সও ছিল না। একেবারে অবৈধভাবে এই ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। তারা কতদিন ধরে গোমাংসের পুর ভরতি শিঙাড়া বিক্রি করছিল তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি।

কেন শিঙাড়ায় গোমাংস ব্যবহার করা হত? সে প্রসঙ্গে ইউসুফ শেখ পুলিশকে জানিয়েছেন মহিষ বা ছাগলের মাংসের চেয়ে গোমাংসের দাম অনেক কম। ক্রেতারাও তা খেতে পছন্দ করতেন এবং এতে লাভ বেশি হত। সেকারণেই তারা গোমাংসকে বেছে নিয়েছিল। কীভাবে গোমাংস সংগ্রহ করত তারা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের সকলকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।