প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী বলেই মুখ্যসচিবের পেন উঠছে না: কলকাতা হাইকোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আদালতের কাছে আরও ৭ সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে আদালতে এই আবেদন পেশ করলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। তিনি বলেন, ‘বুঝতে পারছি এটা প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র বলে হচ্ছে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী তাই মুখ্যসচিবেরও কলম উঠছে না।’ এব্যাপারে শুক্রবার মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কড়া ইঙ্গিত করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: ৩০ শতাংশ লোক মসজিদ ভাঙলে ৭০ শতাংশ লোক চুপ করে বসে থাকবে না, বললেন তৃণমূল বিধায়ক

পড়তে থাকুন: সন্দেশখালি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল CBI, রাজ্যকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ আদালতের

মুখ্যসচিবকে ভর্ৎসনা

এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকলেও তিনি যে কতটা প্রভাবশালী তা আমি আদালতে বসে টের পাচ্ছি। মুখ্যসচিব আদালতের নির্দেশের পরও নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারছেন না। এটাকে আমলাতান্ত্রিক অলসতা বলে মনে হচ্ছে না। বরং এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে।’ বিচারপতি অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে আদালত অবমাননার কৌশল নেওয়া হচ্ছে। এর পর আদালত অবমাননার রুল জারি হলে ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন, এটা হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নির্দেশের অবমাননা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার প্রয়োজনীয়তাটা আপনারা বুঝুন। আপনি যদি অ্যাডভোকেট জেনারেল হয়ে এটা না বোঝেন তাহলে সেটা বিচারব্যবস্থার অপমান।’

আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘরে ঢুকে গেছে, ভোটের পর পিসি – ভাইপো মাছি মারার লোক পাবেন না: দিলীপ ঘোষ

ক্ষুব্ধ আদালত

আদালত জানিয়েছে, শুক্রবার এই মামলায় অভিযুক্তদের জামিনের শুনানি রয়েছে। তখন মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

বিচারপতি বাগচী মুখ্যসচিবকে বলেন, ‘আপনার বন্ধুরা আপনাকে রক্ষা করছে। যদি শেষ দিনেও রাজ্য অনুমতি না দেয় তাহলে অবাক হব না। এটা প্রাতিষ্ঠানিক ষড়যন্ত্র। অভিযুক্তরা এতটাই প্রভাবশালী যে মুখ্যসচিবের কলম উঠছে না।’