Sandeshkhali Investigations: সন্দেশখালি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিল CBI, রাজ্যকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ আদালতের

সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার মুখবন্ধ খামে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল। এদিন রিপোর্ট দেখে সিবিআই তদন্তে সন্তোষপ্রকাশ করে আদালত। সঙ্গে প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, সিবিআইকে সব রকমভাবে সাহায্য করতে হবে রাজ্যকে।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় হয়েও মেলেনি চাকরি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০২০র নিয়োগেও দুর্নীতির ছায়া!

পড়তে থাকুন: মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস নেতাকে বন্দুক হাতে তাড়া করলেন TMCর অঞ্চল সভাপতি

সিবিআইয়ের রিপোর্ট

এদিন আদালতে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই জানায়, জমি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় রাজ্য সরকার তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে না। এরকম চলতে থাকলে তদন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। একথা শুনে প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে রাজ্যকে। আদালত আশা করে রাজ্য সরকার সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করবে।

এখনও আতঙ্কে মহিলারা

এদিন সন্দেশখালির বাসিন্দাদের হয়ে সওয়াল করে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরে সিবিআইয়ের কাছে মানুষ জমি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগ সিবিআইয়ের কাছে দায়ের করতে ভয় পাচ্ছেন মহিলারা। কারণ সিবিআইয়েপ কাছে যেন যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগ না করা হয় সেজন্য মহিলাদের ধমকানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সংযুক্ত করা হোক। তারাই এব্যাপারে আদালতকে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে পারবে।

আদালতের নির্দেশ

এদিন আদালত সিবিআইকে বলে, সন্দেশখালিকাণ্ডে নিজেদের যাবতীয় কৌশল যেন প্রয়োগ করেন তদন্তকারীরা। সাক্ষীদের কাছ থেকে সমস্ত সত্য বার করে আনতে হবে। সেজন্য সিবিআইকে দরকারে আরও মহিলা আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, ১৩ জুন ফের এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন সিবিআইকে পরবর্তী রিপোর্ট দিতে হবে।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস নেতাকে বন্দুক হাতে তাড়া করলেন TMCর অঞ্চল সভাপতি

গত ২২ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের আবেদন খারিজ করে সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও রকম স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে। সঙ্গে বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, ব্যক্তিবিশেষকে বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এত উচাটন কেন?