Electricity Terrif: চুপিসাড়ে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির অভিযোগ তুলে সরব শুভেন্দু, উড়িয়ে দিল WBSEDCL

রাজ্যে চুপিসাড়ে বিদ্যুৎ মাশুল বাড়ানো হয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিকেলে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকদের বিভিন্ন তালিকা অনুসারে মাশুল দিতে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তথ্য গোপন করে জনতাকে লুটছে বলেও দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে বড় মোড়, অকারণে মুখ্যসচিবকে ভর্ৎসনা করছিলাম: হাইকোর্ট

পড়তে থাকুন: বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল সরকার: নরেন্দ্র মোদী

শুভেন্দুর অভিযোগ

শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা গ্রহকদের পকেট ফাঁকা করতে চুপচাপ মাশুল তালিকা পুনর্গঠন করেছে। সুচতুরভাবে ইউনিটের দাম না বাড়ালেও স্ল্যাব এমন ভাবে বদল করা হয়েছে যাতে গ্রাহকদের আরও বেশি খরচ হবে। মে – জুলাই ত্রৈমাসিকের বিলে নবগঠিত মাশুল তালিকা এক গ্রাহকের বিলে ছাপা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন তালিকা পাচ্ছেন।

তিনি জানিয়েছেন, নবগঠিত মাশুল তালিকা অনুসারে আমি ২টি সম্ভাব্য ইলেক্ট্রিক বিলের হিসাব করেছি। প্রথমটায় ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করলে এতদিন দিতে হত ১৯৪৮.৪০ টাকা। যা নতুন তালিকা অনুসারে বেড়ে হবে ২৩৫১.১৮ টাকা। ১০০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে এতদিন দিতে হত ৭৪৫৬.০৪ টাকা নতুন তালিকায় যা বেড়ে হবে ৮৬০৫.১৮ টাকা। এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তথ্য প্রকাশ্যে না এনে গ্রাহকদের লুঠ করে চলেছে।

নিগমের জবাব

শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ খারিজ করে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে তা ভুয়ো। এরকম কোনও সিদ্ধান্ত সংস্থা নেয়নি। কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে। গত ৬ মার্চ শেষবার বিদ্যুৎ মাশুলের সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে মাশুলবৃদ্ধির কোনও সুপারিশ করা হয়নি।’

আরও পড়ুন: তৃণমূলে পদহারা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বলে রাখি, সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ডের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে কলকাতায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা একমাত্র সংস্থা CESCর মালিক আর পি গোয়েঙ্কা গোষ্ঠী। বিজেপির দাবি, রাজ্যে বিদ্যুতের দাম দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি। অতিরিক্ত মুনাফা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলকে দিয়েছে CESC. ক্ষমতায় এলে কলকাতায় অন্যান্য সংস্থাকেও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।