Elephant attack: গেম খেলার নেশাই কাল, যুবককে শুঁড়ে করে তুলে নিয়ে গেল হাতি, ১ কিমি দূরে মিলল দেহ

আলিপুরদুয়ারে আবারও হাতির হানায় মৃত্যু। মোবাইলে গেম খেলার সময় এক যুবককে শুঁড়ে করে পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে গেল হাতি। পরের দিন সকালে ১ কিলোমিটার দূরে হাত পা ভাঙা অবস্থায় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল। হাতির এমন কাণ্ডে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে। মৃত যুবকের নাম আকাশ দাস (২৮)। তিনি মাদারিহাটের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: জঙ্গলে ফেরাতে গিয়ে বিপত্তি, হাতির হানায় প্রাণ গেল ২ বনরক্ষী সহ ৩ জনের, আহত ১

কী ঘটেছিল?

জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তিনটি দাঁতাল হাতি ঢুকে পড়েছিল এলাকায়। সেখানে হাতির তাণ্ডব হৈ চৈ পড়ে যায় গোটা এলাকায়। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতেন শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দার। ঘটনাক্রমে তখন আকাশ নিজের বাড়ির পিছনে মোবাইলে গেমের নেশায় বুঁদ ছিলেন। ঠিক সেই সময় একটি হাতি তার সামনে চলে আসে। কিন্তু, তিনি হাতির হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। এরপর হাতিটি আকাশকে শুঁড়ে করে পেঁচিয়ে নিয়ে চলে যায়। 

আকাশের পরিবারের সদস্যরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। তাকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন। কিন্তু, ফোন বাজলেও আকাশ ধরেননি। রাতে অনেক খোঁজার পরে আকাশকে দেখতে পাননি তারা। রাতভর তল্লাশির পর সকালে গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে একটি জমিতে হাত পা ভাঙা অবস্থায় আকাশকে পড়ে থাকতে দেখেন তার পরিবারের সদস্যরা।

পরে খবর পেয়ে বন দফতরের লোকজন সেখানে গিয়ে আকাশের দেহ উদ্ধার করে। পরে যুবকের মৃত্যু দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমেছে আকাশের পরিবারে। পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। বারবার লোকালয়ে হাতি চলে আসার ঘটনায় তারা বনদফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বনদফতরকে খবর দেওয়ার পরেও নির্দিষ্ট সময়ে বনকর্মীরা এসে পৌঁছননি। সে ক্ষেত্রে দ্রুত বনকর্মীরা সেখানে পৌঁছলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটত না।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ন সিনহা। পাশাপাশি বিজেপির মাদারিহাট ১৮ নম্বর মণ্ডল সভাপতি অনুপম ভারতীও সেখানে পৌঁছন। স্থানীয়রা এই ঘটনার ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

আকাশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তার মোবাইলে গেম খেলার নেশা ছিল। অধিকাংশ সময়েই গেমের নেশায় বুঁদ থাকতেন আকাশ। বাড়ির পিছনে মোবাইলে গেম খেলার সময় হাতি তাকে তুলে নিয়ে যায়। সেই সময় বেশ কয়েকবার তার চিৎকার শোনা গিয়েছিল। তবে তাতে পরিবারের সদস্যরা গুরুত্ব দেননি। পরে জানতে পারেন হাতি তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।