Indian Navy: আরব সাগরে পাকিস্তানিদের নিয়ে বিপদে পড়েছিল মাছ ধরার জাহাজ, সহায়তায় এগিয়ে এল ইন্ডিয়ান নেভি

আরব সাগরে বিপদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০ জন পাকিস্তানি ক্রু বহনকারী একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজে থাকা মেম্বারদের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এমনকী এক ক্রু মেম্বার প্রায় ডুবেও যাচ্ছিল। তাকেও উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়।  ইরানের একটি মাছ ধরার ভেসেলে ছিল তারা। তাদেরকে শুধু উদ্ধার করাই নয়, অসুস্থ ক্রু মেম্বারকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে ভারতের বাহিনী। 

শনিবার নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরব সাগরে জলদস্যুতা প্রতিরোধের জন্য মোতায়েন করা আইএনএস সুমেধা মিশন একটি ইরানি এফভিকে (২০ জন পাকিস্তানি ক্রুসহ) জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে।’

টহলদারি জাহাজ আইএনএস সুমেধা ৩০ এপ্রিল ভোরে এফভি আল রাহমানিকে আটকায়। জাহাজের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি দল জাহাজে আরোহণ করে এবং একজন ক্রু সদস্যকে তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে যিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগঠিলেন। তার মাঝেমধ্য়েই খিঁচুনি হচ্ছিল। সেই অবস্থায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। 

এতে বলা হয়, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পর রোগীরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর মোতায়েন ইউনিটগুলির নিরলস প্রচেষ্টা এই অঞ্চলে কর্মরত নাবিকদের সুরক্ষা ও সহায়তার প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতীক।

এদিকে সম্প্রতি ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালিয়ার কাছে সশস্ত্র জলদস্যুদের দ্বারা অপহৃত একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজের ২৩ সদস্যের ক্রুকে সফলভাবে উদ্ধার করেছিল। গত ২৮ মার্চ আরব সাগরে ইয়েমেনের সোকোত্রা থেকে নয়জন জলদস্যু আল-কাম্বার ৭৮৬ নামের ওই জাহাজটি আটক করে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমেধা এবং আইএনএস ত্রিশূল ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে “তীব্র জবরদস্তিমূলক কৌশলগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করে, যার ফলে জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করে।

আটক জলদস্যুদের জলদস্যুতার বিরুদ্ধে দেশীয় আইনে অভিযোগের মুখোমুখি করার জন্য ভারতে আনা হয়েছিল। এদিকে, মাছ ধরার জাহাজে থাকা ২৩ জন পাকিস্তানি নাগরিকের ক্রুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের মাছ ধরার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।