SSC Case SC latest Update: এসএসসি মামলায় ফের শুনানি ১৬ জুলাই, বেতন ফেরত নিয়ে বড় নির্দেশ, আপাতত চাকরি বহাল!

১৬ জুলাই ফের আবার এসএসসি মামলার শুনানি হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টেই ঝুলে রইল এসএসসি মামলার শুনানি। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য যদি আলাদা করা সম্ভব হয় তবে পুরো প্যানেল বাতিল করা যথাযথ হবে না। সুপ্রিম কোর্ট এমনটাই মনে করছে। বেতন ফেরতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন চাকরিহারারা। আপাতত তাদের টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে। কিছুটা হলেও স্বস্তির। 

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, চাকরি আপাতত ১৬ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকছে। 

এদিকে নিয়োগ যে অবৈধ হয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছে এসএসসি। এদিকে নাইসার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতেই তারা যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্ধারন করেছে। 

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য ও অযোগ্য়দের নিয়ে সওয়াল হয়। ৮ হাজার ৩২৪ জনের নিয়োগ অবৈধ জানিয়ে দেওয়া হল।সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তোলে যেখানে ৮ হাজার ৩২৪জনের নিয়োগ অবৈধ বলে বলা হচ্ছে তাতে পুরো প্যানেল কেন বাতিল বলে ঘোষণা করা হল? 

এদিকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, এসএসসি যদি হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দেন যে এরা যোগ্য প্রার্থী তাহলে তাদের কোনও আপত্তি নেই।

তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুরো অর্ডারের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। তবে কিছু অংশ স্থগিতাদেশ থাকছে। সব মিলিয়ে জট যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। সিবিআই তদন্ত চলবে তবে কড়া পদক্ষেপ নয়। বিগত যে নির্দেশ ছিল সেটাই বহাল থাকছে। 

তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ চাকরিহারাদের একাংশ। তাদের দাবি রাজ্য় সরকারের জন্য তাদের আজ এই পরিস্থিতি। এতদিন কেন এসএসসি এই যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করেনি? কেন অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হল? 

এদিকে হাজার হাজার চাকরিহারাদের কার্যত রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কীভাবে কী হবে কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। প্রসঙ্গত গত ২২ এপ্রিল একটি রায়ে ২০১৬র SSCর নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। এর জেরে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। আদালত জানিয়েছিল, এই প্যানেলে কে যোগ্য আর কে অযোগ্য তা আদালতকে জানাতে পারেনি SSC। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গোটা প্যানেল বাতিল করা ছাড়া অন্য কোনও পথ ছিল না। তবে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য় জানিয়েছে মাথার যন্ত্রণা হলে পুরো মাথা কেটে ফেলা হয় না।  

তবে সব মিলিয়ে চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা কতটা স্বস্তি পেলেন তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন শুরু হয়েছে।