World Asthma Day 2024: কেন হাঁপানি হয় জানেন? হাঁপানি থেকে বাঁচতে করুন এই কাজগুলি

হাঁপানি, যাকে চিকিৎসকরা বলেন অ্যাজমা। হাঁপানি মূলত শ্বাসনালির অসুখ। কোনও কারণে শ্বাসনালী যদি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে, তখন বাতাস চলাফেরার পথে বাধা সৃষ্টি হয় এবং প্রশ্বাস নিতে এবং নিঃশ্বাস ছাড়তে অসুবিধা হয়। এই শারীরিক সমস্যাকে বলা হয় হাঁপানি।

হাঁপানি বা অ্যাজমা কেন হয়?

অনেকাংশে জেনেটিক কারণে হাঁপানি রোগ হতে পারে। এছাড়া ধুলোবালি, জীবজন্তুর লোম, পাখির পালক, ফুলের রেনু, ছত্রাক থেকে হতে পারে হাঁপানি। অনেক সময় আইসক্রিম বা অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় থেকেও অ্যাজমার সৃষ্টি হয়।

হাঁপানির উপসর্গ

হাঁপানি হলে মূলত নিঃশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া বুক ভার হয়ে থাকা, দম বন্ধ হয়ে আসা, ঘন ঘন কাশি, বুকের মধ্যে শব্দ হতে পারে হাঁপানি হলে।

কীভাবে হাঁপানি থেকে রক্ষা পাবেন

ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখুন: সবার আগে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো নিজের বাড়ি পরিষ্কার রাখতে হবে। বাড়ির প্রত্যেকটি জিনিস প্রত্যেকদিন পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোথাও ধুলো না জমে থাকে। পাখা অথবা এসির ব্লেড গুলি প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া রান্নাঘরের চিমনি, ডাস্টবিন সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। মনে রাখবেন, বাড়ির মধ্যে ধূমপান করলে আপনার প্রিয়জনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে বাড়িতে ব্যবহার করবেন এয়ার পিউরিফায়েড, যা ঘরে দূষিত বাতাস বের করে দেবে এবং হাঁপানির রোগকে আপনার থেকে দূরে রাখবে।

ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন: হাঁপানির রোগীদের সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় যখন তারা বাড়ি থেকে বের হন। বায়ু দূষণ আপনার হাঁপানের সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে তাই চেষ্টা করবেন যখনই বাড়ি থেকে বের হবেন মুখে মাস্ক পড়তে। চিকিৎসকদের মতে, যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তাদের ভোরবেলা বা দুপুর বেলা বাইরের কাজকর্ম সেরে ফেলা উচিত। এই সময় রাস্তাঘাটে ধুলো ময়লা এবং দূষণ কম থাকে।

পশুপাখি থেকে দূরে থাকুন: পশু পাখি বিশেষত গৃহপালিত পশু যেমন কুকুর, বিড়াল, পাখিদের থেকে দূরে থাকুন কারণ এই সমস্ত পশু পাখিদের লোম এবং পালক থেকে হতে পারে শ্বাসকষ্ট। বাড়িতে যদি কোনও পোষ্য থাকে, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে বাড়িতে যেন যত্রতত্র লোম না পড়ে থাকে। এছাড়া বাড়িতে আরশোলা, ছারপোকার উপদ্রব থাকলে বাড়িতে পেস্ট কন্ট্রোল করান এবং বাড়িকে রাখুন কীটপতঙ্গ মুক্ত।