Rabindra Jayanti 2024: বিলি করা হয় প্রসাদ, ধূপ ধূনোয় পূজিত হন রবি ঠাকুর! বাংলার এই রবীন্দ্র মন্দিরের গল্প জানেন কি

সাদা রঙের মূর্তি। গলায় মালা। ধূপ ধূনোয় মুখরিত বাতাস। অন্যান্য দেবতার মতো করে পুজোর বেদিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাস্তায় বেরিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি দেখে অনেকেই দেবতা জ্ঞানে দুহাত ঠেকান কপালে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে পড়ুয়ারা ওই রবি মন্দিরে কপালে ঠুকে যান। রবি ঠাকুর এখানে সত্যিকারের ঠাকুর। স্থানীয়রাও বিশ্বাস করেন যে এই ঠাকুর তুষ্ট হলে জ্ঞানের সঞ্চার হয়। এ বিশ্বাস অনন্য, এ বিশ্বাস কবিগুরুকে বাস্তবের দেবতা বানিয়েছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু নোবেল পুরস্কার বিজয়ীই কিন্তু নন, তিনি শুধু বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম নেতা ছিলেন না। তাঁর ভক্ত ও অনুসারী সকল ভাষা ও ভাষার মানুষ। পৃথিবীর প্রতিটি কোণে প্রতিটি ভাষা ও উপভাষায় তাঁর কবিতা ও গান মানে শুধুই মুগ্ধতা। রবি ঠাকুরের কবিতা, গান ঠাকুরের গান হিসাবেই মান্যতা পায়। এককথায় অপার ভক্তি, শ্রদ্ধার প্রতীক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই ভক্তি ও শ্রদ্ধার রূপক হিসাবে তাই ২০ বছর তৈরি হয়েছিল রবির মন্দির। ২৫ শে বৈশাখ, রবীন্দ্র জয়ন্তীতে প্রকাশ্যে সে মন্দিরের অজানা কথা।

  • কোথায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মন্দির

বর্তমানে এই মন্দিরের প্রতি নতুন প্রজন্মের টান হয়তো কিছুটা কমছে। তবে এখনও রবীন্দ্রনাথ পূজিত হন নিত্যদিন। বছর ২০ আগে শিলিগুড়ির ঠাকুরনগরে এই মন্দির তৈরি করেছিলেন, স্থানীয় এক বাসিন্দা শরৎচন্দ্র দাস। জানা গিয়েছিল যে একেবারে ঠাকুরের স্বপ্নাদেশেই নাকি এই মন্দির তৈরি করেছিলেন শরৎচন্দ্র। প্রথমদিকে কেবলমাত্র ছবি দিয়েই মন্দিরে পুজো চলত। পরে ভক্তের সমাবেশ বেড়ে যাওয়ায় মূর্তি তৈরি হয়। পরবর্তীকালে এই মন্দিরের পুজোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বামী সুধাকৃষ্ণ দাস গোস্বামী মহারাজ।

  • রবীন্দ্র জয়ন্তীতে কীভাবে পূজিত হন রবি ঠাকুর

রবীন্দ্র জয়ন্তীতে, কবির এই মন্দিরে পুজো হয় ধুমধাম করে। গোটা বিশ্ব রবি ঠাকুরের স্মরণে যখন নানা অনুষ্ঠানে মত্ত, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও তখন অনন্য উপায়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়। যেমন, ঠাকুরনগরে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয় রবি ঠাকুরের। গত বছর এমনকী রবি ঠাকুরের বিশেষ পুজো উপলক্ষ্যে মেলাও বসেছিল। প্রসাদও বিলি করা হয়েছিল। রবি ঠাকুরের প্রতি সরল বিশ্বাসে বাড়ির মহিলারা এসে গলায় আঁচল জড়িয়ে দুহাত তুলে , কেউ বা আবার মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে গিয়েছিলেন।