দিল্লিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালনকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দিল্লিতে সংসদের সেন্ট্রাল হলে রবীন্দ্রনাথের ছবিতে বিরোধী দলের সাংসদরা শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেও বিজেপির কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। তাই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বাঙালির একজন বিশ্বসেরা আইকনকে সহজেই বিজেপি ভুলে যেতে পারে। এ নিয়ে পালটা তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘জন গণ মন’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন রবি! কবিগুরুর হাতের লেখা ভাইরাল
বুধবার ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মদিন। তবে নির্বাচনী বিধি নিষেধ থাকায় সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলি। তবে সরকারিভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সংসদে সেন্ট্রাল হলে থাকা রবীন্দ্রনাথের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে, জহর সরকার এবং সাগরিকা ঘোষ। অন্যদিকে, লোকসভার বিদায়ী স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশও শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও সংসদ উপস্থিত ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উদযাপনে কলকাতায় এসেছিলেন। তবে দিল্লিতে রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী ঘিরে নরেন্দ্র মোদী অথবা অমিত শাহের প্রথম সারির নেতাদের দেখা যায়নি। তারপরেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কটাক্ষ, বিজেপি যেভাবে বাংলার বিশ্বসেরা আইকনকে ভুলে যেতে পারে তাতে সহজে বোঝা যায় বিজেপি হল বাংলা বিরোধী। যদিও পালটা আক্রমণ করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কীভাবে জন্মজয়ন্তী পালন করতে হবে সেটা তৃণমূলের কাছ থেকে শেখার কিছু নেই।
তবে সংসদে বিজেপির কোনও প্রতিনিধিকে দেখা না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানিয়েছেন।
এছাড়াও, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোডে তাতে মমতা থাকলেও কমিশনের বিধিনিষেধ থাকায় তিনি দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, রাজভবনেও রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।