রেখা পাত্রর হাত ধরে হিঙ্গলগঞ্জে ২০০ পরিবার বিজেপি যোগ দিল

সন্দেশখালিকাণ্ডে একের পর এক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তারমধ্যেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের হিঙ্গলগঞ্জে শয়ে শয়ে বিজেপিতে যোগ দিল একাধিক পরিবার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের হাত ধরে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় ২০০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দেয়। তাদের দাবি, শাসক দলের ‘অত্যাচারের হাত’ থেকে বাঁচতেই তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রীকে তলব করা হল থানায়, রেখা-গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর

শুক্রবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করা নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পলাশ হাউলি। তিনি নিজেকে যোগেশগঞ্জ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা বলেই দাবি করেছেন। তারা সকলে রেখা পাত্রের উপস্থিতিতে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পলাশ হাউলি জানান, তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য তারা দলে থাকতে পারছিলেন না। এখন তারা চাইছেন সবকিছু দুর্নীতিমুক্ত হোক। আগামী দিনে বিজেপির সৈনিক হয়ে তারা কাজ করতে চান বলে তিনি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, যারা এদিন বিজেপিতে যোগ দেন তাদের অধিকাংশই দাবি করেছেন সিপিএম এবং তৃণমূলের ভয়ে তারা কাজ করতে পারছিলেন না। সেই কারণে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রেখা পাত্রও এদিন দাবি করেছেন, অত্যাচারের কারণে সকলে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাঁর দাবি, তারা দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারিত হয়েছেন। এবার তারা অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবেন। তাদের কাজের ভিত্তিতে বিজেপি এগিয়ে যাবে। তারা তৃণমূল সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।

প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এক সময় সন্দেশখালিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল বিজেপি। গোটা বাংলায় তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। তবে সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় একের পর এক ভিডিয়ো সামনে আসতেই তা কার্যত বুমেরাং হয়েছে বিজেপির কাছে। ভিডিয়োতে দাবি করা হচ্ছে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির কারসাজিতে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছিল। 

এক মহিলা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার নামে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করিয়ে ছিল বিজেপি নেতৃত্ব। পরে অভিযোগে তার নাম দেওয়া হয়েছিল। নতুন ভিডিয়োতে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করা নির্যাতিতাদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। সন্দেশখালির আরেক আন্দোলনকারীও প্রশ্ন তুলেছেন। তার মধ্যেও এবার বিজেপিতে যোগ দিল কয়েকশো পরিবার।