Class 11 admission: শিক্ষকের অভাবে একাদশে ভরতি বন্ধ করেছিল, বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করল বীরভূমের স্কুল

শিক্ষকের অভাবে একাদশে ভরতি বন্ধ করেছিল বীরভূমের জাজিগ্রাম সর্বদোয় আশ্রম হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।  শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে অবশেষে স্কুলের পক্ষ থেকে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হল। তারপরেই পড়ুয়াদের একাদশে ভরতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে স্বস্তিতে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।

আরও পড়ুন: প্যানেল বাতিল হওয়ায় একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নেই, ভরতি বন্ধ রাখল বীরভূমের স্কুল

২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার ফলে চাকরি যেতে বসেছিল প্রায় ২৬,০০০ জনের। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই গত ২ মে স্কুলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একাদশ শ্রেণিতে ভরতি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছিল। তাতে সমস্যায় পড়েছিলেন বহু পড়ুয়া। 

প্রসঙ্গত, এই স্কুলে এবছর ৯১ জন ছাত্র এবং ১৪৭ জন ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশ দুঃস্থ পরিবারের। কিন্তু স্কুলটি ভরতি বন্ধ করায় এই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ৭ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্কুলগুলিতে ভরতি হতে হত। তাতে প্রতিদিন অনেকটাই যাতায়াত খরচ লেগে যেত বলে আশঙ্কায় ছিলেন অভিভাবকরা। সেই খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে স্কুল শিক্ষা দফতর। 

জানা গিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষা দফতর। তারপরেই সমস্যার সমাধান হয়। স্কুলের তরফে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘গত ২ মে একাদশে ভরতি স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। শিক্ষক এবং শিক্ষিকার অপ্রতুলতার কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। পুনরায় একাদশ শ্রেণিতে ভরতি অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, বীরভূমের জাজিগ্রাম সর্বদোয় আশ্রম হাইস্কুলে আগে ১০ জন শিক্ষক ছিল। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ৭ জনে এসে পৌঁছয়। মূলত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে এই সংখ্যক শিক্ষক নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে সম্ভব নয়- এমনই দাবি করে ভরতি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল। 

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২০০০ জন। আগে ৩ জন শিক্ষক একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াতেন। তবে তাঁরা বদলি হয়ে যাওয়ার পর একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির জন্য আলাদাভাবে কোনও শিক্ষক ছিল না। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন একাদশ এবং দ্বাদশের পড়ুয়াদের সামাল দিতেন। ২০১৬ সালে প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন ৩ জন। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর এই স্কুলে এখন বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ জনে। কিন্তু, সুপ্রিম স্থগিতাদেশ মেলে স্বস্তি।