Tripura Fuel Crisis: ত্রিপুরায় পেট্রলের বিরাট সংকট, দীর্ঘ লাইন, কড়া নির্দেশ মন্ত্রীর, কেন এমন হল?

প্রিয়াঙ্কা দেববর্মন

গত দু সপ্তাহ ধরে অসমে একাধিক ধসের ঘটনা হয়েছে। এর জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আর তার জেরে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় জ্বালানি যেতে পারেনি। এসবের জেরে ত্রিপুরায় নতুন করে জ্বালানির সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জেরে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষোভও ক্রমশ দানা বাঁধছে। 

ত্রিপুরার রাধানগর, চন্দ্রপুর, কল্যানী পেট্রল পাম্প এলাকায় ঝামেলা বেঁধে যায়। একাধিক পেট্রল পাম্প বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। 

এদিকে একাধিক পেট্রল পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। তবে পুলিশ গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১১টায় পেট্রল পাম্পের স্টক একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে পেট্রল পাম্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে কুপন দেওয়া হচ্ছে তাতে পরের দিন সকালে তেল দেওয়া হবে। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতী মাঝে ঢুকে পড়ে ঝামেলা করতে শুরু করে। 

পূ্র্ব আগরতলার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জ্বালানির একটা সংকট রয়েছে রাজ্যে। জ্বালানিতে রেশনিং করা হচ্ছে। আমাদের বলা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথাযথ রাখার জন্য। একাধিক পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। স্টক ফুরিয়ে যেতেই লোকজন ঝামেলা করতে শুরু করে দেয়। 

পুলিশ জানিয়েছেন একজন দুষ্কৃতীকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তবে মিনিস্টার অফ ফুড অ্যান্ড সিভিল সাপ্লাইজ সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে যে পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে।  তিনি ব্যবসায়ীদের বলেছেন যাতে কৃত্রিম অভাব না তৈরি করা হয়। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন, অসম হয়ে পরিবহণের সমস্যা হলে আগে দেখা যেত যে ত্রিপুরায় নিত্য় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম বাড়ছে। এটা করা যাবে না। করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পেট্রলের চাহিদা নিয়ে মানুষের মধ্য়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতির সমাধান করা যাবে। 

এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রীকেও চিঠি পাঠিয়েছেন এই জ্বালানির সংকটের কথা উল্লেখ করে। 

এদিকে ২৫শে এপ্রিল থেকে এই ট্রেনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। লামডিং ডিভিশনে একটি মালগাড়ি উলটে গিয়েছিল। এদিকে ট্রেন ঠিকঠাক না আসায় ১ মে থেকে ডিজেল ও পেট্রল বিক্রিতে লাগাম টানা হয়েছে ত্রিপুরায়। নির্দেশে বলা হয়েছে দু চাকা ও তিন চাকা গাড়ি ২০০ টাকার বেশি তেল পাবে না একদিনে। চারচাকার জন্য বরাদ্দ ৫০০ টাকার তেল। বাস পাবে ৬০ লিটার করে ডিজেল। আর মিনিবাস পাবে ৪০ লিটার করে তেল প্রতিদিন।