Malda fraud: টাকা নিয়ে জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ, টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দিচ্ছেন TMC নেতা!

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এবার অভিযুক্ত মালদার গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। সুকুমার বালো নামে এক ব্যক্তির দাবি, টাকা ফেরত দিতে ইতিমধ্যে মোজাম্মেল হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছে মালদা জেলা ও দায়রা আদালত। কিন্তু টাকা ফেরত দিচ্ছেন না তিনি। টাকা ফেরত চাইলে মিলছে হুমকি।

আরও পড়ুন: বাংলায় ক্লিন সুইপ ‘দেখছেন’ মোদী, শাহের গলায় আবার ‘নির্দিষ্ট আসন সংখ্যা’

পড়তে থাকুন: ‘ভারতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন…’,মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ডেটা তুলে ধরে আবেদন মোদীর

গাজোল ব্লকের শংকরপুরের বাসিন্দা সুকুমার বালোর অভিযোগ। ২০১৬ সালে তাঁর স্ত্রীকে প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেন মোজাম্মেল হোসেন। কয়েক মাস পরে একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয় তাঁকে। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে যোগদান করেন সুকুমারবাবুর স্ত্রী। চাকরিতে যোগদানের ২ সপ্তাহ পরে তাঁকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, নিয়োগপত্রটি জাল।

সুকুমারবাবু জানান, একথা জানতে পেরে আমি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে টাকা ফেরত চাই। অনেক ঘোরানোর পর তিনি আমাকে একটি চেক দেন। কিন্তু সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে বাউন্স করে। আমরা সেই বিষয়ে তাকে জানালেও এখনো টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেননি তিনি। অবশেষে মালদা জেলা আদালতে আমরা দারস্থ হই ।মালদা জেলা আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন টাকা ফেরত এর জন্য জেলা আদালত নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজও টাকা ফেরত দেননি তিনি। উলটে টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। তিনি জানান, সুকুমার বালো বলে তিনি কাউকে চেনেন না। এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। পালটা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘যত সময় যাবে, তত বিকৃত হতে পারে প্রমাণ’, রামনবমী হিংসা নিয়ে পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময়ী দেব বর্মন বলেন, ‘রাজ্যের দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন ধরনের আর্থিক দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। শাসকদলের কিছু নেতা মন্ত্রীর জন্য আজকে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্গেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এগুলো খুব দুঃখের। আশা করি পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করবে’।