CV Ananda Bose: হোটেলে নৃত্যশিল্পীকে ‘যৌনহেনস্থা’ রাজ্যপালের, এবার রাজভবন অভিযান করবে TMC

এবার নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। আর সেই ইস্যুতে এবার তেড়েফুঁড়ে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিচ্ছে তৃণমূলের শিক্ষা সেল। আগামী ১৭ মে রাজভবন অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন করে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যপালের। তবে এবার রাজ্যপাল এনিয়ে কী বিবৃতি দেন সেটাই দেখার।  

কিছুদিন আগেই রাজভবনে এক মহিলা কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। এবার সেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠল হোটেলের রুমে এক নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দিল্লিতে একটি হোটেলে এই কাণ্ড ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। গত বছরের প্রথমদিকে এই ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে। নবান্নে এই রিপোর্ট জমা পড়েছিল বছরের শেষ দিকে। এরপর কলকাতা পুলিশ নবান্নের নির্দেশে খোঁজখবর করতে নেমেছিল। সেই কাজ আপাতত শেষ। শুক্রবার সেই রিপোর্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে জমা পড়েছে। খবর জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারে। 

ঠিক কী অভিযোগ করা হয়েছিল ?

দাবি করা হচ্ছে ওই ওড়িশি নৃত্যশিল্পীর স্বামী বিদেশে থাকেন। এদিকে বিদেশমন্ত্রকের এক অফিসারের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার নাম করে তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে রুম বুক করে দিয়েছিল রাজ্যপালের ভাইপো। আর সেই রুমেই ঘটে কাণ্ড। অভিযোগ এমনটাই। 

রাজ্যপাল অবশ্য় ছিলেন বঙ্গভবনে। সেখান থেকে তিনি ওই হোটেলে যান। তবে কোনও রক্ষী সেদিন যায়নি। একলাই গিয়েছিলেন বোস। 

এদিকে রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ক্ষত এখনও শুকোয়নি। তার মাঝেই এল এই নয়া অভিযোগ। যার জেরে নতুন করে বাড়ছে অস্বস্তি। 

তবে এবার আর এই ইস্যুকে সহজে ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। তাদের শিক্ষা সেল অবশ্য় এনিয়ে আন্দোলনে নামছে। অভিযুক্ত সিভি আনন্দ বোসকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছে বাংলা পক্ষ। সংগঠনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মাইতি এই চিঠিটি লিখেছেন।

অন্যদিকে তৃণমূলও এবার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর আগেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। 

এদিকে এনিয়ে শনিবার মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার হুগলির সপ্তগ্রামের জনসভা থেকে হাতজোড় করে মমতা বলেছিলেন, ‘বাবারে, আমায় এখন রাজভবনে ডাকলে আমি আর যাব না। রাজভবনে আমি আর যাচ্ছি না ভাই। আমায় রাস্তায় ডাকলে যাব। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমায় রাস্তায় ডাকবেন। আমি রাস্তায় গিয়ে দেখা করে আসব। কিন্তু যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি, আপনার পাশে বসাটাও পাপ।’