Global Economy: ভারত এখন ‘অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার’! প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে কী বললেন ঋষি সুনক – Global Economy: ‘Economic superpowers like India are reshaping the global economy’

‘অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার’ হিসাবে ভারতকে দেখছেন ঋষি সুনক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক সোমবার বলেছেন যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং নাইজেরিয়ার মতো নতুন এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলি বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন আকার দিচ্ছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘পলিসি এক্সচেঞ্জ’-এ কথা বলার সময়, সুনক এই কথা জানিয়েছেন এবং ইউকে-র কী করা উচিত, সেটা নিয়েও আলোকপাত করেছেন। 

অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসাবে ভারতের উত্থানের কথাও উল্লেখ করে এদিন সুনক প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্বারা চালিত একটি গতিশীল এবং উদ্ভাবনী অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত ৩০ বছরের তুলনায় আগামী পাঁচ বছরে আরও বেশি পরিবর্তন হবে।

সুনক শুধুমাত্র ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতাকে এদিন হাইলাইট করছিলেন কারণ কোভিড ১৯ এর পরবর্তী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির মধ্যে সফলভাবে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছে ভারত। তাই ঋষি সুনকের এই মতামতের সঙ্গে একমত ছিলেন ব্রিটেনের চ্যান্সেলরও। গত সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে আলোচনার পরে ইউকে এর চ্যান্সেলর অফ দ্য এক্সচেকার, জেরেমি হান্ট বলেছিলেন যে আমি ভারতকে এশিয়ার সিলিকন ভ্যালি এবং ব্রিটেনকে ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি হিসাবে দেখছি, তাই আমরা এক সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে পারি।

এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারতের প্রশংসা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। গত বছর ভারতে জি২০ সামিটের সময় সুনক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক দু’টি দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, এমনকি এটি বর্তমানকে সংজ্ঞায়িত করার চেয়েও অনেক বেশি। তিনি আরও বলেছিলেন, জি২০ প্রেসিডেন্সি ধরে রাখার জন্য ভারতই সঠিক সময়ে সঠিক দেশ। আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা পর্যন্ত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য জি২০-এর প্রেসিডেন্সির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব।

  • ব্রিটেনে ক্ষমতা থেকে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি

এটি উল্লেখযোগ্য যে ২০১০ সাল থেকে, ব্রিটেন কনজারভেটিভ পার্টি থেকে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় দেখেছে এবং এই বছরের শেষে সেখানে আরও একবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিকেই তাকিযে সুনক এদিন লেবার পার্টির নেতাকে নিশানা করে, ব্রিটেনের জন্য একটি বিপজ্জনক ভবিষ্যতের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। সুনক এদিন দাবি করেছিলেন যে ‘স্বৈরাচারী রাষ্ট্রের ‘ দ্বারা সৃষ্ট নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা করার পরিকল্পনা স্টারমারের কাছে নেই।