Haemophilia treatment: হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ডাক্তারি পড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য ২৬ লাখ মঞ্জুর করল সরকার

হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত এক ডাক্তারি পড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য অর্থ মঞ্জুর করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ওই পড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য আপাতত ২৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই টাকায় আগামী কয়েক বছর নিশ্চিন্তে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। তাতে খুশি ডাক্তারি পড়ুয়া এবং তার পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ কলেজের স্বীকৃতি, রাষ্ট্রপতির কাছে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন উত্তরপ্রদেশের ১২ মেডিক্যালের পড়ুয়ার

জানা গিয়েছে, ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার নাম সুরজিৎ দাস। তিনি চুঁচুড়ার বাসিন্দা। ২০২২ সাল থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছেন তিনি। তবে এই জটিল রোগে তিনি ছোট থেকেই আক্রান্ত। ফলে রেজিস্ট্যান্ট হিমোফিলিয়ার শিকার এই পড়ুয়ার চিকিৎসা খরচ যোগাতে গিয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে তার পরিবার। তার ওপর বাবার মৃত্যুর পর তরুণের পরিবারের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। 

এরপর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানায় ছাত্রটি। পরে মেডিক্যাল কলেজ এবং হেমাটোলজি বিভাগের তরফ থেকে ছাত্রের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যের একমাত্র হিমোফিলিয়া আক্রান্ত ডাক্তারি পড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য আপাতত ২৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সরকারি অনুদানের টাকায় ব্যয়বহুল অ্যান্টিক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি শুরু হয়েছে ওই ছাত্রের।

ছাত্রটি জানান, যখন তিনি ছোট ছিলেন তখন মায়ের সঙ্গে প্রায়ই মেডিক্যাল কলেজে আসতেন। ছোটবেলায় তার জীবনের অনেকটা অংশ কেটেছে মেডিক্যাল কলেজে। গত জানুয়ারিতে কঠিন অসুখে মারা গিয়েছেন তার বাবা। তার বাবার একটি ছোট্ট খেলনার দোকান রয়েছে। তাতেই সংসার চলে। শুধু মাত্র এই রোগের কারণে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা প্রবল হয়েছিল এই ছাত্রের। 

পড়ুয়ারা কথায়, এখন তার দরকার হয়ে পড়েছে এমিসজুম্যাব নামের মেনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এর এক একটি ডায়ালের দাম ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে এই ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। তাতে ব্যাপক খরচ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ২৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করায় এখন এই ইনজেকশন লাগাতার নিতে পারবেন সুরজিৎ। এখন তাকে চিকিৎসার খরচের চিন্তা করতে হবে না। আর তাতে তিনি নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এর পাশাপাশি মালদা মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীর বিরল অটোইমিউন ডিজিজের চিকিৎসার জন্য টেসিলিজুম্যাব ওষুধ দেওয়ার বিষয়টিও স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে অনুমোদন করা হয়েছে। এমন অবস্থায় খুশি দুই পড়ুয়ার পরিবার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে নথিভুক্ত হিমোফিলিয়া রোগীর সংখ্যা হল প্রায় ২,৫০০। এর মধ্যে ৪০০ জন টাইপ- বি’তে ভুগছেন বাকিরা টাইপ-এ’র রোগী।