Student death: স্কুল ছুটির পর রাস্তা পার হতে গিয়ে খড়দহে সেন্ট জেভিয়ার্সের ছাত্রীকে পিষে দিল লরি, আহত ২ পড়ুয়া

কলকাতার বেহালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে। স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পর রাস্তা পার করতে গিয়ে ছাত্রীকে পিষে দিল বেপরোয়া ট্রাক। তারফলে মৃত্যু হয়েছে খড়দহ রুইয়ার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ওই ছাত্রীর। মৃত ছাত্রীর নাম রূপকথা দত্ত। এছাড়া আহত হয়েছে আরও দুই পড়ুয়া। তারা হাসপাতালে ভরতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটক ট্রাককে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করলেও চালক পলাতক। এই মুহূর্তে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা, টোটোকে পিষে দিল বেপরোয়া লরি, মৃত ৫, আহত ১১ জন

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপকথা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। প্রতিদিনকার মতোই স্কুল ছুটি হওয়ার পর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে একটি লেনে ওঠে রূপকথা। তার সঙ্গে ছিল অষ্টম শ্রেণির আরও দুই পড়ুয়া। তবে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে একটি কাটা লেন ধরে যেতেই ঘটে বিপত্তি। জানা যায়, ওই লেন পার করে অন্য একটি লেনে যাওয়ার পথেই উলটো দিক থেকে একটি ট্রাক এসে তাকে পিষে দেয়। ঘটনায় অনেকটাই দূরে ছিটকে পড়ে ওই ছাত্রী। এছাড়াও ওই দুই পড়ুয়াও আহত হয়। 

এদিকে, ট্রাকটি ধাক্কা মারার পর কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলের কাছেই স্কুল। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীরা। পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য মানুষজন সেখানে ছুটে আসেন। আহত অবস্থায় তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তবে সেখানে রূপকথাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

 ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্কুলের শিক্ষকরা। এই ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমেছে মৃত ছাত্রীর পরিবারে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ট্রাক চালক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বছর একই ঘটনা ঘটেছিল বেহালার বড়িশা হাইস্কুলে। ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারকে পিষে দিয়েছিল একটি লরি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি, বাইক ছাড়াও একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছিল পুলিশকে।