বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ দল

বিশ্বকাপ ঘিরে প্রতিবারই স্বপ্নের ফানুস উড়ান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশ ছাড়ার আগে ভক্তদের নানারকম স্বপ্ন দেখিয়ে যান তারা। কিন্তু দিন শেষে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে থাকে বিস্তর ফারাক। এবারা প্রত্যশার কথা শুনিয়ে বুধবার রাত পৌনে দুইটায় ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

একটু আগে ভাগেই ক্রিকেটাররা চলে যান বিমানবন্দরে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বিমানবন্দরে এলেও কিছু ক্রিকেটার বিসিবির গাড়িতে করে স্টেডিয়াম থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছান। অফ স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে বাসে ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব ও রিজার্ভে থাকা আরেক ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ।

বিমানবন্দরে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকতা সেরে রাত পৌনে দুইটায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল। আগামী ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে নামার আগে ১ জুন নিউ ইয়র্কে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও সেটার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহ-আয়োজক দেশটির সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আগামী ২১ মে ,২৩ এবং ২৫ মে ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে।

প্রতিটি বিশ্বকাপের আগেই বড় স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিবারই ফিরতে হয় খালি হাতে। এখন অব্দি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেরুতে পারেনি দ্বিতীয় রাউন্ড। সর্বোচ্চ সাফল্য ২০২২ বিশ্বকাপে দুটি দলকে হারনো। এবার যখন দেশ ছাড়ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তখন তাদের পায়ের নিচের মাটিটা খুব বেশি শক্ত অবস্থায় নেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদামাটা ক্রিকেট খেলে অনেকটা অস্বস্তি নিয়েই দেশ ছাড়ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

যদিও বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দেশ ছাড়ার আগে গনমাধ্যমকে বলেছেন ছোট ছোট পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাফল্য পেতে চান তিনি, ‘আমার মনে হয় আমি যে কথাটা বলেছিলাম তারপরেও বাংলাদেশের সবাই প্রত্যাশা করবেই। আমি নিজেও প্রত্যাশা করি এবং আমাদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় প্রত্যাশা করবে যে আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলব। আমরা যদি ছোট ছোট পরিকল্পনা নিয়ে আগাই যে আমরা কীভাবে গ্রুপ পর্ব পার করব তাহলে পরিকল্পনা করাটা সহজ হয়।’

এবারের পর আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ২০২৬ সালে। ততদিন পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের খেলা চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন। তাই অনেকের মতে ৩৭ পেরুনো সাকিব ও ৩৮ পেরুনো মাহমুদউল্লাহর এটিই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ। এই দুই অভিজ্ঞ তারকাকে সুন্দর কিছু স্মৃতি উপহার দিতে চান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘জানি না এটাই তাদের শেষ বিশ্বকাপ কি না। এটা ধারণা। আমরা যারা আছি, অপেক্ষাকৃত তরুণ, আমরা অবশ্যই চাইব, ওনারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তাদের একটা ভালো স্মৃতি দিতে চাই। ভালো একটা বিশ্বকাপ তাদের আমরা উপহার দিলাম, এটা অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব।’