CAA Reactions: বুকে জড়িয়ে সার্টিফিকেট, CAA-তে নাগরিকত্ব পাওয়া ভরত বললেন, ‘নতুন জীবন পেলাম’

বুধবার চওড়া হাসি মুখে ভারতের নাগরিকত্বের সংশাপত্র হাতে নিয়েছিলেন ভরত কুমার। সিএএ-র আওতায় যে প্রথম ১৪ জন শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হল, তাঁদের অন্যতম ছিলেন এই ভরত। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই ‘স্বপ্ন’ ছিল তাঁর। আর ভোটের মাঝে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়ে সেই ভরত বললেন, ‘মনে হচ্ছে যেন নতুন জীবন পেলাম’। গতকাল নাগরিকত্বের সংশাপত্র বুকে জড়িয়ে ধরে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে ভরত কুমার বলেন, ‘ভারতে এসে নয়া জীবন পেয়েছি বলে মনে হচ্ছে। নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছি, এর থেকে বেশি আর সরকারের থেকে কী চাই।’ (আরও পড়ুন: কততে ঠেকবে BJP-র আসন সংখ্যা? জায়গা ধরে ধরে অঙ্ক কষে ‘হিসেব’ দিলেন মমতা)

আরও পড়ুন: বাংলায় ভোট চতুর্থীর ২৫% আসন পাবে কংগ্রেস, ‘প্লাস-মাইনাস’ করে বড় দাবি অধীরের

ভরত কুমার বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজও পর্যন্ত যা কেউ পায়নি, আমরা আজ তা পেয়ে গিয়েছি। আজ আমরা নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছি।’ ভরত জানান, তিনি ১১-১২ বছর আগে তিনি পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘বিগত ১১-১২ বছর ধরে এই দিনেরই স্বপ্ন দেখে গিয়েছি। যতদিন ধরে এখানে এসেছি, ততদিন ধরে আমরা ভেবেছি যে কবে আমরা নাগরিকত্ব পাব।’ ভরত জানান, তিনি বিগত ১০ বছর ধরে দিল্লির মজনু টিলায় থাকছেন। ভরত বলেন, ‘পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে আমি এসেছি। ওখানের পরিস্থিতির বিষয়ে তো সবাই জানেন। ওখানে কোনও জীবন নেই। পড়াশোনা নেই। ওখানে কোনওদিন স্কুলে যাইনি। ভারতে এসেই যা পড়াশোনা করেছি।’

ভরত কুমার জানান, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর পরিবার। তিনি যখন ভারতে এসেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৩ বছর। তিনি বলেন, ‘যখন পাকিস্তানে ছিলাম, তখন সবসময়ে ভয়ে ভয়ে থাকতে হত। ওখানের পরিস্থিতি খুবই খারাপ।’ এদিকে ভরত কমার জানান, তাঁর এলাকার মোট পাঁচজন আজ ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সেখানে বসবাসরত আরও শরণার্থীদের শীঘ্রই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস মিলেছে বলেও জানান ভরত। ওদিকে চলতি নির্বাচনে ভোট না দিতে পারা নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল ভরতের গলায়। তবে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচনে নিশ্চিত ভাবে আমি নিজের অধিকার প্রয়োগ করব।’

এদিকে ভরতের পাশাপাশি গতকাল নাগরিকত্ব পান শীতল দাস। তিনি জানান, তাঁর ১৯ জন সদস্যের পরিবার ২০১৩ সালে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে এসেছিলেন। তিনিও ভরতের মতো মজনু টিলাতে থাকেন। তাঁর পরিবারের ৩ জনকে গতকাল ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয় বলে জানান শীতল। এদিকে সিন্ধু প্রদেশ থেকে ভারতে আসা যশোধা বলেন, ‘নাগরিকত্ব পাওয়ায় এবার আমি সম্মানের সঙ্গে জীবন যাপন করতে পারব।’