Meghan Markle: ব্রিটিশ রাজপরিবারের পুত্রবধূ মেগানের শরীরে আছে নাইজেরিয়ার রক্ত! DNA টেস্টে উঠে এল তথ্য

ব্রিটেনের রাজ পরিবারের পুত্রবধূ মেগান মার্কেলের শরীরে বইছে নাইজেরিয়ান রক্ত। সম্প্রতি, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে মহিলাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মেগান জানিয়েছেন এমনটাই। বলেছিলেন যে ডিএনএ টেস্ট করে জানতে পেরেছিলেন যে আংশিকভাবে তিনি একজন নাইজেরিয়ান, যা তাঁর কাছে অত্যন্ত আনন্দজনক। প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে নাইজেরিয়ায় মেগানের প্রথম সফরের দ্বিতীয় দিনে আহত চাকুরিজীবী এবং যুবতী মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রচারের জন্য মেগান নাইজেরিয়াকে ‘তাঁর দেশ’ বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মেগান রাজধানী আবুজায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আয়োজিত মহিলাদের অনুষ্ঠানে ভিড়ের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন, নাইজেরিয়ার স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি এবং তার স্বামী যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রকাশ করেছেন।

নাইজেরিয়ান অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রধান এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালা-এর সহ-সভাপতি ‘ওমেন ইন লিডারশিপ’-এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, এক মিলিয়ন বছরেও আমি এটি বুঝতে পারতাম না, যদি না ডিএনএ টেস্ট করতাম। নাইজেরিয়ান হতে পেরে কেন এতটা খুশি হয়েছেন মেগান। এমনই প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিতে গিয়ে ডাচেস অফ সাসেক্স দাবি করেছেন যে, নাইজেরিয়ান মহিলারা সারা বিশ্বে সাহসী, সুন্দরী হিসাবে পরিচিত। তাই এটি তাঁর জন্য একটি বড় আনন্দের সমান। এছাড়াও এদিন মেগান আরও বলেছিলেন যে এখান থেকে আমরা যে জিনিসগুলিকে নিয়ে যাবার আশা করছি তার মধ্যে একটি হল বৈচিত্র্য এবং আমাদের দেশ কতটা বড় তাও দেখে যাচ্ছি। আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে একযোগে থাকতে চাইছি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরে ‘ডাচেস অফ সাসেক্স’ তাঁর পডকাস্টে ঘোষণা করেছিল যে একটি ডিএনএ ভিত্তিক টেস্ট থেকে জানা গিয়েছে যে তিনি ৪৩ শতাংশ নাইজেরিয়ান। এর পরে, অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মো আবুদু শ্রোতাদের নিজের জন্য একটি নাইজেরিয়ান নাম প্রস্তাব করতে বলেছিলেন। উপস্থিত এক ব্যক্তি তাঁকে ‘Ifeoma’ বলে ডেকে বসেন, এটি হল নাইজেরিয়ান ইগবো উপজাতির একটি নাম যার অর্থ ‘মূল্যবান জিনিস’। নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক অনুষ্ঠানে মেগান আরও বলেছিলেন যে, নিজের সম্পর্কে এই চরম সত্যিটা জানার পর তিনি প্রথমেই মাকে জানিয়েছিলেন।

এরপর, মেগানের নাইজেরিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা সামনে আসবে পরে, একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে মেঘান তাঁর পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যকে আরও অন্বেষণ করতে চান। তিনি এর এভ আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা হওয়ার অসুবিধাগুলি নিয়েও আলোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন যে প্রায়শই এই ধরনের মহিলারা, নিজেদের পারিবারিক ইতিহাস বা তিনি মূলত কোথা থেকে এসেছেন, সে সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারেন না।