Tea and Coffee: চা বা কফি খেতে ভালোবাসেন? জেনে নিন এগুলি খাওয়ার সঠিক নিয়ম

শীতকালে সকালে কফির কাপে চুমুক না দিলে যেন ঘুম ভাঙ্গে না। আবার অনেকেই আছেন যারা গরমকালের দুপুরেও চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে ভালোবাসেন। কেউ কেউ আবার রাতে পড়াশোনার ফাঁকে নিজেকে ফুল চার্জ করে রাখার জন্য কফি খান। কিন্তু কফি অথবা চা খাওয়ার সঠিক সময় কখন? কীভাবে খাওয়া উচিত এই পানীয় গুলো?

চা এবং কফি খেতে যারা ভালোবাসেন তারা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না দিনের ঠিক কোন সময়ে চা অথবা কফি খাওয়া উচিত। এই বিষয় নিয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে আইসিএমআর(ICMR)। আইসিএমআর প্রকাশিত গাইডলাইনে প্রায়শই খাদ্য সংক্রান্ত বিশেষ কিছু তালিকা প্রকাশিত করা হয়। ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস প্রচারের জন্য মোট ১৭ টি নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে এই সংস্থাটি।

(আরো পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লু! প্রতিরক্ষার জন্য এই নিয়মগুলি মেনে চলুন)

আইসিএমআর প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুপুরে অথবা রাতে খাবার পর চা,কফি খেলে শরীরের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কফির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফাইন যা স্নায়ুতন্ত্রগুলিকে প্রভাবিত করে এবং মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। এক কাপ চা অথবা কফি পান করার পর অন্তত পক্ষে এক ঘন্টা ব্রেক নেওয়া প্রয়োজন।

নির্দেশিকায় আরো বলা হয়েছে, দুধ চা অথবা কফি পান করা এড়িয়ে চলাই ভালো। সব থেকে ভালো হয় যদি ব্ল্যাক কফি অথবা কালো চা খাওয়া যায়। চা অথবা কফির মত পানীয় বারবার খেলে শরীরের জলের মাত্রা কমে যায় ফলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া কফির মধ্যে থাকা ট্যানিনগুলি শরীরে আয়রনের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং রক্তচাপ বাড়ায় ও হৃদপিন্ডের সমস্যা তৈরি করে।

(আরো পড়ুন:ওবেসিটি তে আক্রান্ত মহিলারা শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন হৃদরোগের, দাবি সমীক্ষায়)

ICMR প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফাইন খাওয়া প্রয়োজন। এক কাপ (১৫০ মিলিলিটার) কফিতে থাকে ৮০ থেকে ১২০ গ্রাম ক্যাফাইন। ইনস্ট্যান্ট কফিতে থাকে ৫০ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফাইন এবং চায়ের মধ্যে থাকে ৩০ থেকে ৬৫ মিলিগ্রাম ক্যাফাইন।

ক্যাফাইন ছাড়াও চায়ে থাকে থিওব্রোমিন এবং থিওফাইলাইন, যা ধমনীর মধ্যে রক্ত সঞ্চালনের গতিকে শিথিল করে দিতে পারে। এছাড়া চা এবং কফিতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল যা শরীরে হৃদরোগ এবং পাকস্থলের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই যতই ভালবাসুন না কেন, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পরিমাণ মতো চা এবং কফি খাওয়ার চেষ্টা করুন।