Custom Clearance fraud: উপহারের নামে প্রতারণা! ইনস্টাগ্রামে ভাই সেজে ২ লক্ষ টাকা ঠকিয়ে নিল ব্যক্তি

প্রথমে ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ করেছিল। তারপর মেয়েটিকে গয়না ও আইফোন দিয়ে প্রলোভন দিয়েছিল। এরপর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের নামে ৬ দিনে প্রায় দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। লখনউয়ের ইন্দিরা নগর এলাকায় বসবাসকারী এক তরুণীর সঙ্গে ঘটে গিয়েছে এমনই একটি ঘটনা। অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ।

  • আসল ঘটনাটা কী ঘটেছে

ইন্দিরা নগরের লাভকুশ নগরের বাসিন্দা সানা সিদ্দিকী একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। ২২ এপ্রিল, তিনি ইনস্টাগ্রামে রবি নামে একটি ছেলের কাছ থেকে একটি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পেয়েছিলেন। এরপরই শুরু হয় তাঁদের কথোপকথন। ছেলেটি মেয়েটিকে বন্ধু হতে বললে সানা ছেলেটিকে তাঁর ভাই হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। ছেলেটিও মেনে নেয় সেই প্রস্তাব। কথোপকথন এগোলে মেয়েটির নম্বর চেয়েছিল সে। তারপর তাকে বলেছিল যে ভাই হিসাবে ছেলেটি তাকে কিছু গয়না এবং একটি আইফোন উপহার দিতে চায়। এটা মেয়েটির বিয়েতে কাজে লাগবে। মেয়েটিও সত্যি ভেবে তার ফাঁদে পা দেয়। এরপর মেয়েটির ছবি ও আধার কার্ড চেয়েছিল ছেলেটি। তারপর টাকা পাঠানোর জন্য কিউআর কোডও নিয়েছিল।

  • পুরো পরিবারকে জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল

এরপর ছবির মাধ্যমে উপহারটি দেখিয়ে মেয়েটির আস্থা অর্জন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পর মনোজ নামের এক ছেলের ফোন এসেছিল মেয়েটির কাছে। মনোজ তখন মেয়েটিকে বলেছিল যে, বিমানবন্দরে লাগেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কাস্টমস ক্লিয়ার করতে হবে। এ জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছে। মেয়েটি তখন নিজের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল। এরপর তারা আরও টাকা দাবি করতে শুরু করলে মেয়েটি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করতে থাকে। এর পরে প্রতারক আয়কর অফিসারের ছদ্মবেশে ধরে মেয়েটিকে হুমকি দিতে শুরু করেছিল। পুরো পরিবারকে জেলে পাঠানোর হুমকিও দিয়েছিল তারা।

এইসব কারণে মেয়েটি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে সে তার বন্ধুদের কাছেও টাকা ধার করে, প্রায় ১ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা প্রতারকদের কাছে স্থানান্তর করে দিয়েছিল। তারপরও প্রতারকদের চাহিদা বাড়তে থাকে। এরপর মেয়েটি বাড়ি থেকে গয়না চুরি করে বিক্রি করতে জুয়েলার্সের কাছে গিয়েছিল।এরপর জুয়েলারি মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর মেয়েটির বাবা পুলিশে গিয়ে মামলা করেন। বর্তমানে পুলিশ এই বিষয়টি নিয়েই তদন্ত করছে।