Jyotipriyo Mallick: অন্তত এক-দেড় মাসের জন্য জামিন দিন, কাতর আবেদন জ্যোতিপ্রিয়র. কারণটাও জানালেন

জামিন পেতে একেবারে মরিয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। কিন্তু জামিন পাওয়ার জন্য তিনি বার বার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর। শনিবারও ইডির বিশেষ আদালতে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী আবেদন করেন বাইরে তাঁর চিকিৎসা করাতে হবে। অন্তত ১ থেকে দেড় মাসের জন্য জামিনের ব্যবস্থা করে দিন। 

জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর ওজন কমে যাচ্ছে। বার বার শরীর খারাপ হচ্ছে। কিডনির সমস্যা হচ্ছে। বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সেক্ষেত্রে অন্তত ১ থেকে দেড় মাসের জন্য তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। 

এদিকে সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে এনিয়ে আদালত তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারে বলে খবর। তবে এদিন ইডির বিশেষ আদালতে জামিনের জন্য নানা আবেদন করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবীরা। 

গোটা ভোটপর্বে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তো অনেক দূরের কথা, রাজনীতির আঙিনা থেকে বহু দূরে জেলের অন্দরে দিন কাটছে তার। 

তবে ইডির তরফে এই জামিনের আবেদনের বার বার বিরোধিতা করা হয়েছে। কারণ তাদের তরফে বলা হয়েছে যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ তিনি জামিন পেলে সামগ্রিকভাবে সমস্যা হতে পারে। 

তবে শেষ পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জামিন পান কি না সেটাই দেখার। 

রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। একটা সময় বাংলার রাজনীতিতে জ্যোতিপ্রিয়র দাপট ছিল দেখার মতো। বালুদা বলেই বাংলার রাজনীতিতে পরিচিত তিনি। সেই বালুদা আজ গরাদের আড়ালে। তবে এখন তিনি জামিন পেতে মরিয়া। তবে তাঁর বিরুদ্ধে নানা তথ্য় প্রমাণ জোগাড় করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

একদিকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল। অন্য়দিকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সব মিলিয়ে একের পর এক অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। 

এদিকে এনিয়ে এর আগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বার বার তোপ দেগেছেন। শুভেন্দু এর আগে বলেছিলেন, তিনি ( জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন সেটা হল তার নিরাপত্তারক্ষীর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। ওনার পদবি রাও।যদি এই ২৫টা ফোনের মধ্য়ে দুটি ফোন না পেয়ে থাকে তবে ইডিকে অনুরোধ করব এই দুটি ফোনও নিতে। তারা যদি হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ও ডিটেলস বের করতে পারেন তবে দেখবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তিনি সারাদিনে কতবার কথা বলতেন। তিনি যে দুর্নীতি করেছেন তা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশে করেছেন। গরিবের চাল ধানের টাকাও চুরি করেছেন। এত নিম্নমানের কাজ ভারতবর্ষে কেউ কোনওদিন করেনি।