চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন

চট্টগ্রামে কনটেইনারবাহী লরির চাপায় আহত তাসফিয়া আক্তার (২০) মারা গেছেন। শনিবার (১৮ মে) বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন মোট তিন জন। এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) রাতে লরি চাপায় মারা যান তাসফিয়ার স্বামী আসাদুজ্জামান সানি (২০) ও তার ভাগ্নে চার বছরের শিশু সাকিব। এ ঘটনায় আহত তাসফিয়ার বোন নুসরাত আক্তার এবং মো. ইমরান ও নুরুল আমিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও তিনজন আহতের ঘটনায় মারা যাওয়া শিশু সাকিবের পিতা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সড়ক পরিবহন আইনে দায়ের করা মামলায় লরিটির চালক-হেলপারকে আসামি করা হয়। দুর্ঘটনার সময় লরিটি চালাচ্ছিলেন হেলপার কামাল হোসেন। তিনি নোয়াখালী জেলার কবিরহাট এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে গত শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত তাসফিয়া আক্তার ও আসাদুজ্জামান সনি সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা দু’জনই নগরীর একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত তিনমাস আগেই তাদের বিয়ে হয়। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তারা পতেঙ্গা নাজিরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখানে তাদের আত্মীয়-স্বজনও থাকেন। শুক্রবার রাতে তারা পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায় হাঁটতে বের হয়েছিলেন। বাসায় ফেরার পথে কনটেইনারবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদেরকে চাপা দিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।’

ওসি বলেন, রাতে দুর্ঘটনার পর প্রথমে আসাদুজ্জামান সানিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। রাত ১টার দিকে ফায়ারসার্ভিসের সহায়তায় পুকুর থেকে লরিটি টেনে তোলার পর পাওয়া যায় শিশু সাকিবের লাশ। শুক্রবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তাসফিয়া আক্তার। তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছেন পতেঙ্গা থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আজ একজনসহ মোট তিনজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও তিনজন। দুর্ঘটনার সময় লরিটি চালাচ্ছিলেন হেলপার। তাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেন দেন। পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’