CPM leader arrest with money: ভোটের মধ্যে সীমান্তে প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রা সহ ধৃত CPM নেতা, শাস্তির দাবি TMC-র

সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে গরু পাচার বা সোনা পাচারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এবার সীমান্তে প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রা সহ গ্রেফতার হলেন এক সিপিএম নেতা। ওই বাংলাদেশি টাকা নিয়ে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছিলেন ওই সিপিএম নেতা। সেই সময় বিএসএফ জওয়ানরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। ধৃত সিপিএম নেতার নাম শহিদুল ইসলাম। তার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বাংলাদেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগরের হাকিমপুর সীমান্তে। ভোটের মধ্যে এত পরিমাণ অর্থসহ সিপিএম নেতা গ্রেফতার হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএমকে  এ নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ নাকা তল্লাশিতে BJP নেতার গাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়, শোরগোল জলপাইগুড়িতে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএম নেতা শহিদুল স্বরূপনগরের বিথারি হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিথারির বাসিন্দা। তিনি গত পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম প্রার্থী হয়েছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়ে তিনি ভোটে লড়েছিলেন। যদিও তিনি জয়ী হতে পারেননি। জানা যাচ্ছে, পোশাকের ভিতরে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার বাংলাদেশি টাকা তিনি বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, বিএসএফ জওয়ানদের নজর তিনি এড়িয়ে যেতে পারেননি। 

তারালি সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা শহিদুলের শরীরে তল্লাশি চালাতেই এই বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশি টাকা বেরিয়ে আসে।  উদ্ধার হওয়া টাকার নথি দেখাতে পারেননি সিপিএম নেতা। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সীমান্ত পেরনো সংক্রান্ত খবর তাদের কাছে আগেই ছিল। সেই খবর পাওয়ার পরেই সতর্ক ছিলেন জওয়ানরা। এরপর ওই সিপিএম নেতার শরীরে তল্লাশি চালাতেই এই বিপুল টাকা উদ্ধার হয়। 

সিপিএম নেতা কোথা থেকে টাকা পেয়েছিলেন? কী উদ্দেশ্য ছিল? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে এই ঘোটনায় ব্যপক অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম। ধৃত শহিদুল দলের নেতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় সিপিএমের নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, দলের যে কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। শহিদুল যে কাজ করেছেন সেটা অন্যায়। তারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। 

এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তাদের আরও বক্তব্য, সিপিএম নাকি দুর্নীতি শেষ করার কথা বলে। আবার তাদের দলের নেতাই টাকা পাচার করছেন।